অধ্যক্ষের কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ

0
139

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া শহরের আফসার উদ্দিন মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. হাফেজ আব্দুল করিমের কাছ থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কের বিরুদ্ধে।

রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়ার সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমান।

অধ্যক্ষ ড. হাফেজ আব্দুল করিম সাংবাদিকদের জানান, আফসার উদ্দিন মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে মনগড়া মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। তাদের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যড়যন্ত্র করে তারা আমার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে। আমাকে সেসব অভিযোগ খন্ডন করার সুযোগ পর্যন্ত দেয়া হয়নি। এছাড়াও সরকারি বা সংশ্লিষ্ট কোনো অফিসে আমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী শিক্ষকরা কুষ্টিয়ার সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমান ও সাব্বির আহমেদের নেতৃত্বে তাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মাদ্রাসায় নিয়ে আসেন।

তিনি আরও বলেন, কুষ্টিয়ার সমন্বয়ক পরিচয় ব্যবহার করে মুস্তাফিজুর, সাব্বির ও তাদের ছাত্ররা সকাল ১১টার দিকে মাদ্রাসায় এসে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে সই নিয়েছে। জোর করে পদত্যাগপত্রে সই করানো হয়েছে। আমার সাথে অন্যায় করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করলে সত্যটা বেরিয়ে আসবে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে আমার সাথে যে অন্যায় করা হয়েছে তার সঠিক বিচার চাই। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমি পদত্যাগ করিনি। আমার কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই করিয়ে নেয়া হয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি।

এবিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়ার সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি ওই মাদ্রাসায় গিয়েছিলাম। উনার বিরুদ্ধে বেশকিছু দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে ওই মাদ্রাসার বেশ কয়েকজন শিক্ষক দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ তুলে অবস্থান নিয়েছিল। এই সমন্বয়কের দাবি তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। তাকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হয়নি।

এবিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়ার অন্যতম সমন্বয়ক তৌকির আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, আমাদের বেশ কয়েকজন ওই মাদ্রাসায় গিয়েছিল। কি হয়েছে সেটা আমি জানি না। তাদের সাথে কথা বলে পরে এবিষয়ে জানাতে পারবো।

আরও পড়ুন –পৌরসভার মেয়রের কক্ষে তালা দিলো ছাত্রদল নেতারা

এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, আফসার উদ্দিন মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও পদত্যাগের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে নিয়মানুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের তদন্তের দায়িত্ব দিলে আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ জানা নেই।

এবিষয়ে কথা বলার জন্য আফসার উদ্দিন মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আক্তারুজ্জামান মাসুম ও অভিযোগকারী শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।