ভেড়ামারা প্রতিনিধি
অভিনব কায়দায় বাল্যবিয়ে গিয়ে কনের পিঁড়িতে অন্য মেয়েকে বসিয়েও শেষ রক্ষা হলো না। এ ঘটনায় কনের পিতা ও বরকে কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
শুক্রবারে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল মারুফ এ দ-াদেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার সাতবাড়িয়া মন্ডলপাড়ার তারিফ মন্ডল তার স্কুল পড়–য়ার মেয়েকে বিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেন। বাল্যবিয়ের খবরে প্রশাসন অভিযান চালালে অন্য মেয়েকে কনে সাজিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে প্রতারণা করা হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালিয়ে ওই বিয়ে ভন্ডুল করে দেয় প্রশাসন।
একই সাথে কনের পিতা মেজবান মন্ডলের ছেলে তারিফ মন্ডল ও এনামুর রশিদ বুলবুলের ছেলে বর আহাদুর রশিদ (২২)কে কারাদ-াদেশ দেয়া হয়। একই সাথে কনের ফুপু হানুফা খাতুনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল মারুফ জানান, সাতবাড়িয়া মন্ডলপাড়ায় ১৪ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্য বিবাহ হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় কনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বিয়ের আয়োজন। কিন্তু সেটি বাল্য বিয়ে না। অভিযোগ বাল্যবিয়ে হলেও কনে প্রাপ্তবয়স্ক।
তিনি জানান, সেখান থেকে চলে আসার পর আবারো অভিযোগ পাওয়া যায়, সেখানে যে বিয়ে হচ্ছে সেটা বাল্য বিয়ে। অন্য মেয়েকে কনে সাজিয়ে প্রশাসনকে বিভ্রান্ড করা হয়েছে। ফের ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় কনে পরিচয় দেয়া শাম্মি নামের মেয়েকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
ইউএনও জানান, বাল্য বিয়ে দেয়ার অপরাধে কনের পিতা তারিফ মন্ডলকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড, অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে করার অপরাধে বর আহাদুর রশিদকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা ও বাল্যবিবাহে সহায়তা করার দায়ে কনের ফুপু হানুকা খাতুনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।