কুমারখালীতে খাল দখল করে মাছ চাষ

0
147
পঁচন লাগা ধান দেখাচ্ছেন কৃষক

পানিতে ভাসছে কৃষকের স্বপ্নের ফসল

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মসজিদের নামে ড্রেনেজ খাল দখল করে মাছের চাষ করায় চর গোবিন্দপুর বিলের জমির উঠতি বরো ধান, পাট, কলার বাগানসহ কয়েক কয়েকশ বিঘা জমি ফসল বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের চর গোবিন্দপুর বিলে। এতে অবাধ পানি প্রবাহে বাঁধার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পাকা বোরো ধান, এতে কয়েক কোটি টাকা কোটি টাকার তির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।

কৃষকরা জানান, চর গোবিন্দপুর বিল থেকে স্থানীয় উজ্জলের বাড়ি হয়ে গড়াই নদী পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার ড্রেনেজ খাল। এই খাল দিয়েই বিলের অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হয়। গোবিন্দপুর ও চর এতনামপুর জামে মসজিদ কমিটির নামে কওে স্থানীয় প্রভাবশালীরা খাল দখল করে কয়েক বছর ধরে বানিজ্যিক ভাব মাছের চাষ করে আসছে। খালে বাঁধ দেওয়ায় স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়।

পানিকে ডুবে যাওয়া ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক

মৌসূমের শুরুতে পানি বৃষ্টির পানি আটকে পাকা ধান, পাট, কলার বাগানসহ কয়েক কয়েকশ বিঘা জমির ফসল প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েক কোটি টাকার য়তির মুখে পড়েছেন সেখানকার কৃষকেরা।

শুক্রবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, এক সময়ের প্রায় ৬০ ফিট প্রস্থের এক কিলোমিটার খাল বর্তমানে সংকীর্ণ হয়ে গেছে। খনন না করায় গভীরতা কমে গেছে। পানিতে ভাসছে কৃষকের স্বপ্নের পাকা ধান ও পাট। কোথাও হাটু সমান আবার কোথাও বা মাজা সমান পানিতে দাঁড়িয়ে ধান কাটছেন কৃষকেরা। ধানে পঁচন লেগেছে।

আরো পড়ুন – কালীগঞ্জে তেল মিলে অভিযান

এ বিষয়ে চর গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক টুটুল বলেন, এখানে ৫ বিঘা জমিতে ধান ও এক বিঘা জমিতে পাটের চাষ রয়েছে। পাকা ধান গুলো এখনও পানিতে ভাসছে। আর পাটের গাছ পানিতে ডুবে গেছে। দ্রæত পানি অপসারণ করা না গেলে তার ল ল টাকা তি হবে।

রাজ্জাক জানান, ড্রেনেজ খাল দখল করে মসজিদ কমিটি মাছের ব্যবসা করে। কিন্তু খাল খনন করেনা। ফলে পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি হয়ে বিলের ফসল পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে।

স্থানীয় কৃষক আবুল শেখ জানান, মসজিদ কমিটির কারণে বিলের কয়েক হাজার বিঘা জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। এতে কৃষকদের প্রায় কোটি টাকার তি হবে। দ্রæত খালটি খনন করে এ সমস্যার সমাধান হওয়া প্রয়োজন। আর এক চাষী ইসলাম শেখ বলেন, পাকা ধান পানিতে ভাসছে। গাড়ি ঘোড়া আসতে পারছে না। তাই ধান কেটে পানিতে ভাসিয়ে নিচ্ছেন।

গোবিন্দপুর জামে মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার আশরাফুল আলম বলেন, খালের মাছ বিক্রি করে দুই মসজিদের উন্নয়ন করা হয়। তবে নিয়মিত খাল খনন করা হয়। মসজিদ কমিটির সদস্য মোস্তফা দাবি করেন এতদিন কারো কোন অভিযোগ ছিলো না। এবার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। কৃষকদের স্বপ্ন পানিতে ভাসছে। খাল খননের জন্য ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। কৃষকদের স্বপ্ন বাঁচাতে এবং খাল খননের জন্য যত দ্রæত সম্ভব পদপে নেওয়া হবে।