খোকসায় পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি

0
130
ডাকাতির ঘটনার বর্ননা দিচ্ছেন হামিদা খাতুন।

স্টাফ রিপের্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় পুলিশ পরিচয়ে প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে সঙ্গবদ্ধ ডাকতরা নগত অর্থ ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৬ লক্ষাধীক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।

উপজেলা শিমুলিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া ঘুঘু পাড়ার প্রবাসী হাফিজুল খা’র বাড়িতে বুধবার গভীর রাতে এই ডাকতির ঘটনা ঘটে। হাফিজুল খা এ গ্রামের কৃষক বিশু খা’র ছেলে। তারা তিন ভাই প্রবাসী। বর্তমানে গ্রামে রয়েছেন। পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন।

তাপদাহ থেকে নিজেকে রক্ষায় গাছের ছায়ায় বসে ঘটনা স্থলের সরেজমিন পরিদর্শন করছেন একজন পুলিশ অফিসার।

বসন্তো রোগাক্রান্ত প্রবাসী হাফিজুল খান জানান, মধ্যরাতে শারীরিক অসুস্থা খারাপ থাকা ও কুকুরের হাক-ডাকে তিনি ঘরের বাহিরে আসে। এ সময় দুই জন মুখোষ পড়া অস্ত্রধারী তার দুই পাশ থেকে আক্রমন করে। নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে গৃহকর্তৃ মা হামিদা খাতুনকে ডেকে তুলে। তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ির সর সদস্যদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে উঠানে জিম্মি করে। ডাকাতরা পুলিশ পরিচয়ে বাড়ির প্রতিটি ঘরের আলমারী তল্লাসী শুরু করে। প্রায় আধাঘন্টা ধরে ডাকাতরা এ তল্লাসী অভিযান চালায়। পরে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে বাড়ির পুর্ব দিকের মাঠ দিয়ে ডাকাতরা নির্বিঘেœ চলে যায়। ডাকাত দলে ১৫/১৬ জন সদস্য ছিল। তাদের প্রত্যেকের মুখে কালো রঙের মাক্স পরা ছিল। ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করা হলে থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌচ্ছায়।

প্রবাসীর মা হামিদা খাতুন বলেন, বেটারা থানারতেন আসার কথা কয়া (বলে) আমার ডাকে তুলে। পরে দেখি স-গোর (সবার) হাতে অস্তর। আমার সে কী গা কাঁপা। বাপ-শ্বশুরে আমলে আর এরকম দেখেন নি।

শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস জানান, কৃষক বিষু খা ও তার পরিবারোরের সদস্যরা খুবই নিরিহ। যারাই ডাকাতির সাখেথ জড়িত থাকা তারা লোকটির প্রতি অবিচার করেছে। আওয়ামী লীগ বা বা বিএনপি যারাই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে অন্যায় করেছে।

রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় ঘটনার আপডেট জানার জন্য থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা হাবিবুল্লাহ সাথে কথা বলা হয়। তিনি জানান, রাতে তিনি ঘটনা স্থরে গিয়েছিলেন। জড়িতদের সনাক্তে চেষ্টা চলছে। জড়িত সন্দেহে এক জনকে জিগাসাবাদের জন্য আনার কথা স্বীকার করেন। মামলা হয়নি।