খোকসায় ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্ত শুরু

0
145
প্রতিকী ছবি

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসা জানিপুর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রজাউল করিমের বিরুদ্ধে ১০ম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানারি অভিযোগের শুনানী হয়েছে। অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত শিক্ষক সাংবাদিকদের এড়িয়ে গেলেন।

খোকসা জানিপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণিতে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্ত খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার বিকাল তিনটা থেকে ৪টা ১০ মিনিট পর্যন্ত শুনানী চলে। এই তদন্ত কমিটিতে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি রিপন বিশ্বাস, সদস্য সচীব ও বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মহম্মদ আলী ও সদস্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাজমূল হক।

সবার চোখ এড়িয়ে তদন্ত শুরুর কয়েক ঘন্টা আগেই খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত শিক্ষক রজাউল করিমের হাজির হন। তদন্ত শেষে দুই পক্ষের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন স্থানীয় সংবাদ কর্মীরা। কিন্তু উভয় পক্ষ কোন এক সময় পালিয়ে যান।

তদন্ত কমিটির সূত্রে জানা গেছে, রুদ্ধদ্বার এ শুনানীতে উভয় পক্ষ তাদের লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। অভিযোগকারী ১০ম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাবা ও মাও তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। অধিকতর তদন্তের স্বার্থে কমিটি মুখ খুলতে বাজি হয়নি। তবে অভিযোকারী বাদেও অন্য শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের পক্ষে তদন্ত কমিটির কাছে লিখিত দিয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাজমূল হক বলেন, ছাত্রীর যৌন হয়রানির বিষয়টি স্পর্শকাতর। তাই যথেষ্ট গোপনীয়তারসাথে তদন্ত করতে হচ্ছে। আমরা দুই পক্ষের কথা শুনেছি এবং লিখিত নিয়েছি। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতিসহ তদন্ত কমিটি বসে ২/৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রিপন বিশ্বাস বলেন, দুই পক্ষই তদন্ত কমিটির কাছে হাজির হয়েছিল। তারা বক্তব্য দিয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদ তৈরী পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর ওই শিক্ষার্থী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতিসহ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ সময় শিক্ষার্থীর বাবা ও মা উপস্থিত ছিলেন। তার বাড়ি উপজেলা কমলাপুর গ্রামে।

আরো পড়ুন – খোকসা উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন ২ নভেম্বর

ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিমের কাছে বৈকালীন ব্যাচে প্রাইভেট পড়ত সে। এসএসসি পরীক্ষা চলার অজুহাতে ছাত্রীটিকে সকালের ব্যাচে আসার জন্য অনুরোধ করেন শিক্ষক রেজাউল করিম। সে মোতাবেক ১৭ সেপ্টেম্বর ছাত্রীটি সকালে পড়তে আসে। তার আসতে বিলম্ব হওয়ায় অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দিয়ে ছাত্রীটিকে দেরি করান তিনি। এক পর্যায়ের সর শিক্ষার্থীরা চলে গেলে শিক্ষক ছাত্রীটির শরীরে হাত দেওয়া সহ নানা ভাবে যৌন হয়রানি করেন। এ ঘটনার দিন বাড়ি ফিরে শিক্ষার্থী তার পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করে। পরে তারা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।