খোকসায় ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর চেষ্টা, সালিশে রফা

0
197
এই উঠানেই ছাত্রীর শ্লীলতা হানীরসিালিশ য়েছে।

স্টাফ রিপোর্টার

স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর চেষ্টার অপরাধে জড়িত যুবক শহিদুলকে গ্রাম্য সালিশে চরথাপ্পর দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কুষ্টিয়ার খোকসার ওসমানপুর ইউনিয়নের দেবীনগর গ্রামে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত অবদি ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর চেষ্টা ও তার সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রীটি তার নানা বাড়ি থাকে। সে স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর ঘটনার সালিশ হয় গ্রামের অসংখ্য মানুষের সামনে। লোক লজ্জার ভয়ে ছাত্রীটি নিজের ঘর থেকে আর বেড় হচ্ছেনা।

এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ওই স্কুল ছাত্রীর মা নিজের চিকিৎসায় ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে একটু দুরে ছেলেকে জানাতে যায়। গৃহকত্রীর অনুপস্থিতি টের পেয়ে দেবীনগর গ্রামের জামালের ছেলে শহিদুল পান খাওয়ার কথা বলে ঘরে ঢোকে। এক পর্যায়ে ছাত্রীর হাত ও মুখ চেপে ধরে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। এ সময় সে চিৎকার করলে তার মামা এগিয়ে গিয়ে ভাগ্নিকে রক্ষা করে। এরপর থেকে গ্রামেই সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার জন্য ছাত্রীর পরিবারের উপর সমাজ পতিরা চাপ দিতে শুরু করে। এক পর্যায়ে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ছাত্রীর নানা বাড়ির উঠানে সালিশ বসানো হয়। অসংখ্য মানুষের উপস্থিতিতে শোনানীও হয়। এরপর লম্পট শহিদুলকে চরথাপ্পর মারায় রায় ঘোষনা ও বাস্তায়নও হয়।

শ্লীলতারহানীর চেষ্টার শিকার ওই ছাত্রীর মা জানান, তার অনুপস্থিতর সুযোগে প্রতিবেশী ভাইয়ের ছেলে শহীদুল পান খাওয়ার কথা বলে ঘরে ঢুকে তার মেয়ের শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। মেয়ের চিৎকার শুনে তার ছোট ভাই ভাগ্নিকে রক্ষা করে। সে গরিব মানুষ, তাই ভাই ভাতিজার মাধ্যমে অপরাধী শহিদুলের কিছুটা হলেও বিচার করাতে পেরেছে। বিচার নিয়ে কথা বলার সময় তার চোখে মুকে অজানা আতঙ্কের ছাপ ভেসে ওঠে।

বাড়িতে গিয়েও লম্পট শহিদুলের খোজ পাওয়া যায়নি। তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী স্বীকার করেন ওই ছাত্রীর হাত চেপে ধরা সালিশ হয়েছে। তবে সালিশে শহিদুলকে চরথাপ্পর মারার বিষয় অস্বীকার করেন।

ওসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বলেন, শ্লীলতাহানী নয়, ওই ছাত্রী প্রকৃত পক্ষে ধর্ষনের শিকার হয়েছে। এলাকার সন্ত্রাসীরা সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাপাচা দেওয়া চেষ্টা করছে। শহিদুল ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে সম্প্রতি শ্রীপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা হয়েছে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ছাত্রীর শ্লীলতা হানীর বিষয়টি তিনি শোনেননি। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেবেন।