খোকসায় পত্রিকা সম্পাদকের বাড়িতে দুই দফা পুলিশের অভিযান

0
196

স্টাফ রিপোর্টার

এবার বিএনপি কর্মীকে ধরতে স্থানীয় একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদকের বাড়িয়ে থানা পুলিশ দুই দফায় অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু পাওয়া গেলোনা গেন আসামীকে। প্রথম বাব শুধু পুলিশ সদস্যরা অভিযানে অংশ নেয়। দ্বিতীয় দফায় অভিযানের সময় পুলিশের সাথে উপস্থিত হয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা। এ বিষয়ে জানতে চাওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ওসি বললেন যে পরিমান লোকের সামনে অপমান হয়েছেন, তাদের ডাকেন মাপচেয়ে নিব।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা শহড় থেকে প্রকাশিত একমাত্র সাপ্তাহিকের সম্পাদকের বাড়িতে রবিবার দুপুর ১ টা ১০ মিনিটে সাদা পোষাক ধারী ৫/৬ জন হকিস্টিক ও মোটা লাঠি নিয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা বাড়িটির চতুরদিক ঘুরে দেখেন। এক পর্যায়ে হকিস্টিক হাতে একব্যক্তি খড়ির ঘরে ঢুকে ঘরের বিভিন্ন স্থানে খোজা খুজি করেতে থাকেন। তাদের পকেটে ওকি টকি ও অস্ত্র দেখে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোন দিয়ে তাকে বিষটি বগত করা হয়। প্রায় ১০ মিনিট অভিযানের পর তারা চলে যায়। এর প্রায় পৌনে এক ঘন্টা পর উপজেলা স্বোচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদকসহ পুলিশ সদস্যরা দ্বিতীয় দফায় ফিরে আসেন। তারা আমার বাড়ির কয়েকটি স্থানে ঘোড়া ঘুড়ি করে ফিরে যায়। তবে যাকে খোজার কথা বলা হচ্ছে তাকে পাওয়া যায়নি।

সাপ্তাহিক দ্রোহ পত্রিকার সম্পাদক সম্পাদক তমা মুনসী জানান, কয়েক মিনিট আগে জোহরের নামাজের আহান শেষ হয়েছে। তিনি তখন রান্নার কাজে ব্যস্ত। হঠাত করে কয়েকজন অপরিচিত লোক হকিস্টিক ও লাঠি সোটা নিয়ে আমার বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে। তার বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করতে থাকে। ইতোমধ্যে আমার স্বামী বাড়িতে ফিরে আসেন। তাদের কাছে অভিযানের বিষয় সম্পর্কে জানতে চান। তারা কোন কথা না বলে আমার বাড়ির খড়ির ঘরে ঢুকে খড়ির গাদার উপর হকিস্টিক দিয়ে পেটাতে থাকে। এ সময় আমার স্বামী ওসি কে ফোন করেন। উত্তেজিত হয়ে ওসি জানান বিএনপি কর্মী স¤্রাটকে ধরতে পুলিশ অভেযান করছে। কিছু সময় পর পুলিশ ফিরে যায়।

এ ঘটনার পৌনে এক ঘন্টা পর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সহ দ্বিতীয় বার আমার বাড়িতে আসেন। তারা বাড়ির ভেতরে বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরেন। পরে আবার নিজেরায় চলে যায়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন সময়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়া কেন্দ্র করে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা হাবিবুল্লার সাথে মতপার্থক্যের সৃষ্টি হয়। তিনি আমার স্বামীকে আটক করে নাশকতার মামলার আসামী করার হুমকী ধামকী দিয়ে আসছেন।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা হাবিবুল্লার সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, নাশকতার মামলার আসামী স¤্রাটকে ধরতে তার ভাড়া বাড়িতে অভিযান করা হয়। পরে সে সাংবাদিকের বাড়ির ভিতরে চলে যায়। তাকে ধরতেই সেখানে পুলিশ গিয়েছিল। তবে সেখানে আসামী পাওয়া যায়নি।

সামান্য ঘটনা নিয়ে এতো বিচলিত হওয়ার কিছুনেই বলেও তিনি হুকমী দেন। তিনি ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, নাশকতার মামলার আসামী ধরতে পুলিশ যেখানে সেখোনে অভিযান করতে পারে। আপনি যদি অপমানিত হয়ে থাকেন তা হলে যেসব লোক উপস্থিত ছিলো তাদের ডাকেন। আমি মাপ (ক্ষমা) চেয়ে নিচ্ছি।

সহকারী রিটানিং অফিসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাসকে অবগত করা হয়। সাংবাদিক সম্পাদকের বাড়িতে পুলিশে অভিযানের কথা শুনে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে তিনি পুলিশের কথা বলে জানাবেন । একই সাথে ধর্য ধরার জন্য পরামশ্য দেন।