কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
দৌলতপুরের বাক প্রতিবন্ধী জাহানারা বেগম (৪০) কে ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে আটকের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে গ্রামবাসী।
রবিবার বেলা ১১ টার সময় দৌলতখালী গ্রামে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে দৌলতখালী বাজারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দৌলতপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিন্নাত আলী, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য রায়হান আলী, কৃষকদল নেতা আজিজুল হক, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকদল নেতা ফেরদৌস হোসেন, তানভীর আহম্মেদ বিজয়, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সবুজ আহম্মেদ, বিএনপি নেতা হাবিবুল্লাহ, সাহাবুল ইসলাম, ছিদ্দিকুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে পরিবারের পক্ষ থেকে আরিফ হোসেন দাবি করেন, আমার ফুপু বাক প্রতিবন্ধী। সে আর পাঁচ জন মানুষের মত চলাফেরা সংসারের কাজ-কর্ম সব করতো। আমার ফুপুকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। পরে তার লাশ মাঠের মাঝে একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়। তিনি আর বলেন, আমরা সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
শনিবার সকালে দাড়ের পাড়া গবড়গাড়া গ্রামের গইড়ির মাঠ নামক স্থানের জিনা মেম্বারের পুকুর পাড়ের একটি বরই গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় বিবস্ত্র জাহানারার মরদেহ উদ্ধার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন – কুষ্টিয়ায় ৪০০ বস্তা সার নিয়ে ট্রাক খালে
এলাকাবাসী জানায়, রাতে এশার নামাজের পরে দাড়ের পাড়ার মোড়ে একটি দোকানে বসে ছিলেন জাহানারা।
জাহানারার ভাই রাহাতুল ইসলাম ও ভাইয়ের ছেলে আরিফ হোসেন বলেন, জাহানারা বাক প্রতিবন্ধী। তিনি প্রতিদিনের ন্যায় সংসারের কাজকর্ম শেষে সন্ধ্যার পরে হাঁটা-হাঁটির জন্য বাইরে বের হয়েছিল। পরে আর বাড়ি ফেরেনি। জাহানারা বাক প্রতিবন্ধী হলেও সংসারের সকল কাজ করতে পারেন। তিনি মানুষের বাসা-বাড়িতে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করতেন। আমরা সকালে খবর পায় বিবস্ত্র অবস্থায় তার লাশ একটি গাছে ঝুলছে। আমরা এসে দেখি জামা কাপড় বিভিন্ন জায়গায় পড়ে আছে এবং তার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।