নিখোঁজের ২৬ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার

0
142

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

অপহরণকারীদের স্বীকারউক্তিতে নিখোঁজের ২৬ দিন পর তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আবু হুরায়রার অর্ধগলিত মরদেহ কবর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার রাত আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের তালতলা গ্রামের গোরস্তানের পুরাতন কবর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তালতলা গ্রামের গোরস্তান পাড়ার আব্দুল বারেকের ছেলে আবু হুরায়রা (১১) চুয়াডাঙ্গা ভি জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্র।

অপহরণকারী মোমিনের স্বীকারোক্তিতে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মোমিন একই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহাসিন জানান, ১৯ জানুয়ারি বিকালে আবু হুরায়রার নিজ বাড়ি থেকে একই গ্রামের শিক রঞ্জুর কাছে গ্রাইভেট পড়তে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের দিন স্কুলছাত্রের বাবা চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।

অপহৃত শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২৯ জানুয়ারি অপহরণকারীরা চিরকুট দিয়ে শিশুটির বাবার কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অভিযুক্তরা। ১ ফেব্রæয়ারি এসএমএস দিয়ে পুনরায় চাঁদা দাবি করে। পরের দিন স্কুলছাত্রের পরিবার মুক্তিপণ বাবদ ৫ লাখ টাকা দিতে চাইলে তারা ১০ লাখ টাকা দাবি করে। ৩ ফেব্রæয়ারি তারা আবার একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন দিয়ে চাঁদা চায়।

৪ ফেব্রæয়ারি আবার অপহরণকারীরা টিরকুট ও মোবাইলের ম্যাসেজ দিয়ে স্কুল ছাত্রের বাবার কাছে মুক্তিপণের জন্য ৬ লাখ টাকা দাবি করে। চিরকুট ও মোবাইল ফোন নম্বর স্কুলছাত্রের পরিবার পুলিশকে দেয়। পুলিশ প্রযুক্তির সাহায্যে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে মোমিনকে আটক করলে হত্যা রহস্য উদঘাটন হয়।

এ ঘটনায় আবু হুরায়রার বাবা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করে।

ওসি বলেন, রবিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ তালতলা গ্রামের গোরস্তানপাড়া থেকে শহিদুল ইসলামের ছেলে মোমিনকে আটক করে থানায় নেয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে আবু হুরায়রারকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ গ্রামের গোরস্তানের একটি পুরাতন কবর খুঁড়ে গুম করার কথা স্বীকার করে।