ফটোকপির জন্য গৃহবধূ হত্যা

0
196
pobon-murder-news-droho
ঘাতক স্বামী পবন মন্ডল

স্টাফ রিপোর্টার

জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি হারিয়ে ফেলায় গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা ঘাতক স্বামীকে আটকে পুলিশে দিয়েছে।

গৃহবধূ নির্যাতন ও হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে। পাংশা উপজেলার কেয়াগ্রাম লক্ষিপুরে। নিহত গৃহবধূর ১১ বছর বয়সের এক প্রতিবন্ধি কন্যা সন্তান রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকালে গৃহবধূর স্বামী পবন মন্ডল তার স্ত্রী এক সন্তানের মা ডালিয়া (৩৫) এর কাছে আশা সমিতির কিস্তির ৬শ টাকা ও জাতীয় পরিচয় পত্রের একটি ফটো কপি রেখে মাঠে ঘাস কাটতে যায়। স্ত্রী কিস্তি টাকা জমা দিলেও ফটোকপি দিতে ভুলে যায়। সমিতির ওই কর্মকর্তা গৃহবধূর স্বামীকে বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানায়।

এ ঘটনার পর পাষন্ড স্বামী পবন বাড়ি ফিরে গৃহবধূর উপর শারিরীক নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে সজ্ঞাহীন গৃহবধূ ডালিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এ সময় স্বামী ও শাশুরী গৃহবধূ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করতে থাকে। স্বামীর নির্যাতনেই গৃহবধূ মারা যাওয়ার বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। পরে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে উপস্থিত জনতা ঘাতক স্বামী পবন ও শাশুরী গোলেজানকে আটকে পুলিশে হস্তান্তর করেছে।

নিহত গৃহবধূর বাবার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে হাসপাতালে মৃতদেহের কাছে উপস্থিত নিহতের খালা আলেয়া জানান, ভোটার কার্ডের ফটোকপি না পাওয়ায় স্বামী নিজে গৃহবধূকে “বাড়ে” পিটিয়ে মেরে বাড়িতে ফেলে রাখে। পরে গ্রামের ডাক্তার দেখানো হয়। মারা যাওয়ার পর ডালিয়াকে হাসপাতালে আনা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ সামিরা রওরিন জানান, গৃহবধূ ডালিয়াকে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে আনা হয়। তবে নিহতের কপালের বাম পাশে আঘাতের চিহ্ন আছে। এই আঘাতের চিহ্নের উৎস্য খুজতেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসেছে। এ ঘটনায় পুলিশকে নিয়মিত চিঠি দেওয়া হয়েছে।

নিহত গৃহবধূর বাবার বাড়ি উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের বনগ্রামের পশ্চিম পাড়ায়। সে তালেব মন্ডলের কন্যা।

খোকসা থানার এসআই মোজাম্মেল হক জানান, গৃহবধূ নিহত হওয়ার ঘটনাটি পাংশা উপজেলায় ঘটেছে। মামলা হবে সেখানে। ইতোমধ্যে পাংশা থেকে পুলিশ এসেছে আদের কাছে নিহত গৃহবধূর ও আটক স্বামীকে হস্তান্তর করা হয়েছে।