বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ভাড়া দেওয়া প্রধান শিক্ষককে শোকজ

0
48

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

ভাড়ার বিনিময়ে শ্রেণিকক্ষে একটি এনজিওকে কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ প্রদান করে দেওয়া কুমারখালীর যোগেন্দ্রনাথ (জেএন) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেই প্রধান শিক্ষক মকছেদ আলীকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজ নোটিশ এ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের অভিযোগ সত্য কি না ? তা আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।

রবিবার বিকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে জেএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন মো. মকছেদ আলী। যোগদানের পর থেকেই শ্রেণিকক্ষে প্রায়ই প্রশিক্ষণ কর্মশালাসহ নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ও সংগঠনের কর্মকর্তারা। এ জন্য তাদের গোপনে নানা অঙ্কের টাকা দিতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষক মো. মকছেদ আলীকে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় ১৪ বছর ধরে তিনি অসাধু উপায়ে এভাবে এনজিও প্রতিষ্ঠানের কাছে শ্রেণীকক্ষ ভাা দিয়ে আয় করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে এমন বাণিজ্য চলে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে কোন তথ্য নেই। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ভয়ে তারা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করতে পারেননি। স্থানীয় অভিভাবকদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে সাংবাদিকরা এ অনিয়মের চিত্র তুলে এনেছেন।

একাধিক এনজিও ও সংগঠনের কর্মকর্তা স্বীকার করেন, শ্রেণিকক্ষে প্রশিক্ষণের জন্য বিকাশের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক মকছেদ আলীকে তারা নিয়মিত টাকা দিয়ে আসছেন।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. মকছেদ আলী বলেন, তিনি ভাড়া বাবদ টাকা নেননি। প্রশিক্ষক হিসেবে এনজিও থেকে মাঝে মধ্যে কিছু সম্মানী পেয়েছেন। তার ভাষ্য, ছুটির দিনে অথবা ছুটির পর এসব প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ চালানো হয়।

আরও পড়ুন – কুষ্টিয়ায় ভুয়া মেজর জেনারেল আটক

তিনি স্বীকার করেন কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন। অভিযোগের বিষয় নোটিশের জবাবে জানানো হবে।

আরও পড়ুন – খোকসায় আগ্নেয় অস্ত্রসহ শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক আটক

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষ ভাড়া বাণিজ্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়টি জানতে রবিবার প্রধান শিক্ষককে ৭ দিনের কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। নোটিশের জবাবের পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।