মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ঠোঁট ফাটালেন পুরুষ কাউন্সিলর

0
109
আহত নারী কাউন্সিলর

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া পৌরসভার এক সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে ঘুষি মেরে ঠোঁট ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আরেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। ওই মহিলা কাউন্সিলের নাম মোছাম্মত পারভীন। তিনি সংরক্ষিত ১৯,২০ ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। আর অভিযুক্ত কৌশিক আহম্মেদ পৌর ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। তবে দু’জনই একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।

এ ঘটনায় পৌরসভা প্রাঙ্গনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে পৌরসভায় কাউন্সিলরদের মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অন্যান্য ওয়ার্ড কাউন্সিলররাও দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।

মহিলা কাউন্সিলর মোছাম্মত পারভীন জানান, কাউন্সিলর কৌশিক নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি পেছন থেকে বাবা-সোনা বলে ডাক দেন। এরপর কৌশিক এসে তাকে গালি দিয়ে ডাক দিয়েছি এই বলেই কিল-ঘুষি মারতে থাকে। ঘুষি মেরে তার ঠোঁট ফাটিয়ে দিয়েছে।

মহিলা কাউন্সিলরের এই অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর কৌশিক আহমেদ বলেন, নারী কাউন্সিলর প্রতিদিন মদ পান করে পৌরসভায় আসেন। সে আমাকে বিশ্রিভাষায় গালি দিয়ে ডাক দেন। আমি প্রতিবাদ করায় সে চায়ের কাপ ছুড়ে মারে। সেই কাপ আমার গায়ে এসে লাগে। এরপর আমি তাকে ঘুষি মেরেছি।

এদিকে মদ পান করার কথা বললে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন ওই নারী কাউন্সিলর। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে কৌশিককে মারতে যায়। এরপর পুলিশ তাকে সরিয়ে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী কাউন্সিলররা জানান, ঘটনা যায় হোক এভাবে একজন মহিলা কাউন্সিলরকে ঘুষি মারা ঠিক হয়নি। এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয় বলে জানান তারা।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা জানান, নারী কাউন্সিলরের ওপর হামলার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দুই পক্ষতে থানায় ডাকা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ আনিসুর রহমান আনসু জানান, মেয়রের হস্তক্ষেপে এই অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার আমরা সুষ্ঠু সমাধান চাই।

স্থানীয় সরকার কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আখতার বলেন, এমন কোন অভিযোগ এখনো পাইনি।