ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করায় কৌশলে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে বখাটে রাসেল। এই অপমান সইতে না পেরে দশম শ্রেণীর ওই মেধাবী ছাত্রী আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি করছেন নিহত ছাত্রীর পরিবার।
আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া ওই ছাত্রী উপজেলার শ্রীফলতলা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়ত। ফেসবুকের মাধ্যমে রাসেল নামের এক যুবকের সাথে পরিচয় হয়। প্রেম প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে বখাটে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ছাত্রীর এক বান্ধবীকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে মেধাবী ছাত্রীকে অপহরণের ছক আটে বখাটে রাসেল। সে উপজেলার মাঠ আন্দুলিয়া গ্রামের ওলিয়ার রহমানের ছেলে।
ঈদের পর ১ জুলাই ওই ছাত্রীর বান্ধবী সুমাইয়া মুঠো ফোনে কল করে তাকে জোহান পার্কে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত রাসেলের কাছে ছাত্রীকে ছেড়ে দিয়ে বন্ধবী পালিয়ে যায়। পার্কের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ছাত্রীর শ্লিলতাহানীর ঘটনা ঘটায়। সমভ্রম হারানোর যন্ত্রনা ভুলতে না পেরে ঘটনার দিনই সে বিষপাণ করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। টানা এক সপ্তাহ মৃত্যুর সাথে লড়াই করে ৮ জুলাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রী শ্লীলতাহানীর ঘটনা সম্পর্কে একটি চিরকুট লেখে রেখে গেছে বলে পরিবার দাবি করছে। এ ঘটনায় নিহত ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে হরিণাকুন্ডু থানায় বখাটে রাসেল ও তার বান্ধবী সুমাইয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বসির উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ভাবে ডেকে নিয়ে একজন মেধবী ছাত্রীর সম্মানহানী ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তিনি আত্মহত্যা প্ররোচনাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
মামলার বাদী জানান, সুমাইয়ার কারণেই তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে ডেকে নিয়ে বখাটের হাতে তুলে দিয়েছে। এখন একটি মহল সুমাইয়াকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। তিনি বখাটে রাসলে ও সুমাইয়ার গ্রেফতারের দাবী করেন।
হরিণাকুন্ডু থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অনিষ মন্ডল জানান, মামলা রেকর্ডের পর আসামীদের গ্রেফতারে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। আশা করা যায় খুব দ্রæতই বখাটে রাসেল ও সুমাইয়াকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।