ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ছিলেন সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও তিন তিনবারের সংসদ সদস্য। খুলনা-৫ সংসদীয় এলাকায় চলেছেন দাপটের সঙ্গে। ক্যাডার বাহিনী পরিবেষ্ঠিত চলতেন মহাপরাক্রমে। অথচ ইতিহাসের কি নির্মম পরিহাস! শেষ পর্যন্ত ধূড় পরিচয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে ধরা পরলেন বিজিবির হাতে।
বিজিবি সুত্রে বলা হয়, তিনজন ধুড়ের সঙ্গে সাবেক ওই মন্ত্রী মহেশপুরের শ্রীনাথপুর সীমান্তে পৌছালে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সদস্যরা তাকে ধরে ফেলেন। পালানোর সময় মানব পাচারকারীদের পরামর্শে তিনি মাথা ন্যাড়া ও গোফ কামিয়ে ফেলেন। তারপরও শেষ রক্ষা হলো না সাবেক এই ভুমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্রে’র। রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিজিবি তাকে আটক করে।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক কর্ণেল শাহ মোঃ আজিজুন শহীদ জানান, সাবেক ভুমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে সোমবার সকালে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা হয়েছে।
মহেশপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান কাজল জানান, সাবেক ভুমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্রকে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও খুলনায় হত্যাসহ দুইটি মামলা রয়েছে। এছাড়া বিনা পাসপোর্টে চোরাই পথে ভারতে প্রবেশের দায়ে মহেশপুর থানায় পাসপোর্ট আইনে একটি মামলা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সোমবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে ঝিনাইদহ জেলা গারাগারে পাঠানো হবে।
জানা গেছে, দশম জাতীয় সংসদে প্রথমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন নারায়ন চন্দ্র চন্দ। ২০১৮ সালে একই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হন তিনি। গত জানুয়রিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। গত ২৯ সেপ্টেম্বর নারায়ণ চন্দ্র্র চন্দসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণের মামলা করেন এক তরুণী। মামলায় ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদকেও আসামি করা হয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে সাবেক ভুমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ অন্যান্যদের মতো গাঢাকা দেন। রবিবার রাতে মাথা ন্যাড়া ও গোফ কামিয়ে ধূড় পরিচয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় আটক হন আওয়ামী লীগের এই নেতা।