হত্যাকারীদের ফাঁসি দেখতে চান মাহাবুবুর রশিদের বাবা-মা

0
301

স্টাফ রিপোর্টার

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত মাহাবুবুর রশিদের বৃদ্ধ বাবা মা ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় কার্যকরের অপেক্ষায় আছেন।

রবিবার সকালে কুষ্টিয়ার খোকসার জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের ফুলবাড়ীর বাড়িতেই ছিলেন নিহত মাহাবুরের বৃদ্ধ মা হাসিনা বেগম (৭৫) ও বাবা বৃদ্ধ হারুন অর রশিদ (৮৫) দম্পতি। বৃদ্ধ বাবা মা’র চোখে ছেলের স্মৃতি এখনো অমলীন হয়ে রয়েছে। ছেলের নিহত হবার খবর মায়ের বুক কেঁপে উঠেছিল। ছেলের শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিলেন বাবা। আজও সে অস্থিরতা কাটেনি। ছেলের হত্যাকারীদের শাস্তি ফাঁসির রায় বাস্তবায়ন হলে হয়তো কাপুনি কিছুটা কমবে।

মাহবুবুর রশিদ সংসারের একমাত্র উপার্জনম ছিলেন। তার অবর্তমানে হারুন অর রশিদের দুঃখ বার মাসের। বাধ্যক্যজনিত রোগের কারনে মাসে ১৫ -১৬ হাজার টাকার ওষুধ লাগে। মেয়ের পাঠানো টাকা ও বাড়িতে গাভির দুধ বিক্রি করে তাদের সংসার চলে। এ টাকারই একটা অংশ জমিয়ে ছেলে মাবুবুর রশিদের শাহাদত বার্ষিকী পালন করে থাকেন। ছেলের তৈরী করা ঘরই তাদের শেষ আশ্রয় হয়েছে। মাঝে মাঝেই মন চাইলে ছেলের কবরের পাশে কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকেন। আর আল্লাহর কাছে রায় বাস্তবায়নের কামলা করেন। কে কি লিখে তাদের বিপদে ফেলেন এই ভয়ে সাংবাদিক দেখলে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন।

কেমন আছেন জানতে চাইলে, বৃদ্ধ হারুন অর রশিদ বলেন, অনেক দিন রায় হয়েছে কিন্তু খুনিদের শাস্তি বাস্তবায়ন হলো না। তবুও মারার আগে খুনিদের শাস্তি ফাঁসির রায় বাস্তবায়ন দেখতে চান।

রায় বাস্তবায়নে বিলম্বে তিনি বলেন, তার শ্রষ্টাই ছেলের খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর করবেন। শৈশবের স্কুলের পাশে শায়িত ছেলে মাহাবুবুর রশিদের সমাধির অসমাপ্ত কাজ শেষ করা দাবি করেন তিনি।

বৃদ্ধা হাসিনা বেগম জানালেন, ছেলে মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর বুকের মধ্যে কাপুনি শুরু হয়েছে আর কমেছে। বয়সের কারনে শারীরিটা ভালো যাচ্ছে না। এই মাস আসলেই (আগষ্ট মাস) বুকের কাপুনি বেড়ে যায়। তিনিও আশায় বুক বেধে আছেন ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় কার্যকর হবে।

১৯৬৮ সালে মাবুবুর রশিদের জন্ম। প্রথমিক পড়েছিলেন গ্রামের স্কুলে। পাংশার হাবাসপুরের একটি স্কুলে মাধ্যমিক পড়েছেন। যোগ দেন সেনা বাহিনীতে। অবসর নেন ২০০১ সালে। কিছুদিন পর ততকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ড্রাইভার পদে যোগান করেন। বিশ্বাষযোগ্যতা অর্জন কওে অল্প সময়ের মধ্যে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে পদন্নতি পান। ২১ আগস্ট ঢাকা বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এ আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনড হামলার সময় বোমার স্পির্ন্টাসে আহত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।