স্টাফ রিপোর্টার
বাসের মধ্যে পেয়ারা খেয়ে ব্যাচেলর অব এগ্রীকালচার এডুকেশন (বিএজেড) শাখার চার পরীক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন উপসহকারী কৃষি অফিসার রয়েছেন।
শনিবার দুপুরে কুষ্টিয়া রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কে পদ্মা গড়াই নামের একটি যাত্রীবাহী বাসে পরীক্ষার্থীরা অজ্ঞান পাটির খপ্পরে পরেন। অসুস্থ্য শিক্ষার্থীরা সবাই ফরিদপুর এটিআই থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বেলা দেড়টার দিকে তাদের বহনকারী বাসটি কুষ্টিয়া রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাংশায় পৌছালে পরীক্ষার্থীরা ফেরি ওয়ালার কাছ থেকে পেয়ারা কিনে খায়। এর কিছু সময় পর বাসের মধ্যে তারা সজ্ঞা হারিয়ে অসুস্থ্য হয়ে পরেন। অসুস্থ্যরা হলেন, খোকসা উপজেলার বনগ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে ইউনুস আলী, চর দশকাহুনিয়া গ্রামের পঞ্চানন বিশ্বাসের মেয়ে পলি রানী বিশ্বাস, মানিকাট গ্রামের আব্দুল মমিন এর ছেলে মারুফ হোসেন। মারুফ উপসহকারী কৃষি অফিসার পদে যশোরে চাকুরি রত আছেন। এ ছাড়া শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের শাহাবাড়িয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে নয়ন। তারা সবাই একই ব্যাচের শিক্ষার্থী। বাসে থাকা অন্য সহপাঠিরা বিষয়টি বুঝতে পেরে শিক্ষাথীদের বাস থেকে নামিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বাসে থাকা ও উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া বিএজেড শাখার অপর পরীক্ষার্থী সুদ্বিপ্ত বিশ্বাস জানান, অসুস্থ্য হয়ে পরা পরক্ষিার্থীরা সবাই বাসের পেছনে ছিল। তারা পেয়ারা খাওয়ার পরপর অসুস্থ্যতা বোধ করে। এ সময় বাসে থাকা অন্য পরীক্ষঅর্থীদেরর জানান। কিন্তু মুহুত্যের মধ্যে ওই চার পরীক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পরে। অসুস্থ্যদের বাস থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার ধারনা অজ্ঞান পাটি পেয়ারার মধ্যে চেতনা নাশক কিছু দিয়েছিল। আর সেই পেয়ারা খেয়েই বিত্তি ঘটেছে।
সন্ধ্যায় এরিপোট লেখার সময় হাসপাতালে অসুস্থ্য নয়নন জানান একই বাসে তার ৭ জন ছিল। তার চারজন ছিল পেছনে। পেয়ারা শুধু তারাই খেয়েছে। এর বেশী আর জানা নেই। এখন বুঝছেন তিনি হাসপাতালে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ইফফাত জাহান তনুজা জানান, অসুস্থ্যদের মধ্যে ইউনুস আলী সম্পন্ন অচেত অবস্থায় আছে। বাঁকী তিনজন মোটামুটি আছে। অসুস্থ্যদের ভর্তি রাখা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে। শিক্ষার্থীদের চেতনা নাশক কিছু খাওয়ানো হতে পারে।