অন্যের মর্টার শেলে মানুষ মরছে কিন্তু সরকার নিশ্চুপ: রিজভী

0
111
ছবি সংগৃহীত

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

অন্য দেশের মর্টার শেলে মানুষ মরলেও সরকার নিশ্চুপ। তারা একটা স্টেটমেন্ট পর্যন্ত দিতে পারছে না বলে সরকারের সমালচনা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রিজভী।

রিজভী বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) ব্যর্থ একটি সরকার। তারা যেমন মত প্রকাশের স্বাধীনতা রা করতে পারেনি, ঠিক তেমনি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রা করতে পারছে না। আজকে প্রযুক্তির যুগে প্রত্যেক মানুষ দেখছে, কিভাবে অন্য দেশের মর্টার শেল আসছে, বাংলাদেশের মানুষ মারা যাচ্ছে এবং সরকার নিশ্চুপ থাকছে, নির্বিকার থাকছে। একটা স্টেটমেন্ট পর্যন্তও দিতে পারছে না। এখন সারাদেশের মানুষ ভাবছে আমাদের স্বাধীনতা আছে কিনা, আমাদের সার্বভৌমত্ব আছে কিনা কিংবা আমরা একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক কিনা!’

বাংলাদেশে পাতানো নির্বাচন, জালিয়াতির নির্বাচন গোটা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত’এ দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এই নির্বাচন যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রার নির্বাচন হয়, এটাকে যদি ভারত সমর্থন জানায় তাহলে আমাদের ভাবতে হবে, ভারত নিজ দেশে শক্তিশালী গণতন্ত্র চায়, ইস্পাতের গণতন্ত্র চায়। আর বাংলাদেশে চায় প্লাস্টিকের গণতন্ত্র।’

এসময় কারাগারে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘কারা হেফাজতে নির্মম নির্যাতনের শিকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারো না কারো মৃত্যুর সংবাদ আসছে প্রায়ই। গত তিন মাসে কারাগারে নির্যাতনে বিএনপির ১৩ জন নেতার মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যেকটি মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, দেশের আইন-আদালত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, কোর্ট-কাচারি, বিচার-আচার সবকিছুই আওয়ামী ডামি সরকার করতলে বন্দী করে বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাদের জামিনের সাংবিধানিক ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। আদালতে জামিনের জন্য বারবার আবেদন করলেও নানা টালবাহানা করা হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আমিনুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।