অপারেশন থিয়েটারে অসুস্থ হয়ে রোগীর মৃত্যু: চিকিৎসকের উপর হামলা

0
93

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় অপারেশন থিয়েটারে অসুস্থ হয়ে পরা ফিরোজা খাতুন (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনদের চিকিৎসকের উপর হামলা করেছে।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের আদ-দ্বীন হাসপাতালে ওই নারীর মৃত্যু হয়। পরে নিহতের স্বজনরা অভিযুক্ত চিকিৎসক আমিরুল ইসলাওে উপর হামলা করে।

চিকিৎসককে মারধরের এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। চলছে আলোচনা-সমালোচনাও।

নিহত ফিরোজা খাতুন কুষ্টিয়া শহরের জিকে পুরাতন বালুঘাট এলাকার আইয়ুব আলীর স্ত্রী।

ওই রোগীর স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফিরোজা খাতুন রবিবার সকালে পিত্তথলিতে পাথর অপারেশনের জন্য আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন সোমবার সকালে অপারেশনর সময় রোগীর রক্ত চাপ বেড়ে যায়। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে আদ-দ্বীন হাসপাতাল কর্তৃপ তাকে মান্নান হার্ট হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে নেওয়ার পথেই ওই রোগীর মৃত্যু হয়।

রোগীর মৃত্যু হওয়ার খবরে ক্ষুদ্ধ স্বজনরা অভিযুক্ত ডাক্তারকে হাসপাতালের মধ্যেই মারধর করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহত ফিরোজা খাতুনের ছেলে অনিক আহমেদ বলেন, মাকে সুস্থ অবস্থায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর আমি অপারেশনের জিনিসপত্র কিনতে বাইরে থেকে আসার পর চিকিৎসক আমিরুল ইসলাম বলেন, রোগী অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে অপারেশন করতে পারবো না। তার পরই আমার মায়ের মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার আদ-দ্বীন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার আব্দুল কাদের বলেন, ফিরোজা খাতুন নামে ওই রোগী তার পিত্তথলির পাথর অপারেশনের জন্য আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি হন। তার দাবি, অপারেশনকারী চিকিৎসক তিনি অভিজ্ঞ।

তিনি দাবি করেন, ডাঃ আমিরুল ইসলাম কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের আবসরপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক। ভুল চিকিৎসায় নয়, মূলত ফিরোজা খাতুন হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।

অভিযুক্ত চিকিৎসক আমিরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে অভিযোগ না থাকায় এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। ভুক্তভোগীর স্বজনরা অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের একটা সংবাদ শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।