কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আদালত কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারীর নোটিশ দিতে গিয়ে বিবাদীর সঙ্গে পুলিশের সদস্যের ধস্তাধস্তি, হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে উপজেলার চৌরঙ্গী বাজার সংলগ্ন ভালুকা ফকিরপাড়ায় এঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার পুলিশের ওই এ এস আইয়ের নাম মো. নিজাম এবং পুলিশ সদস্য হলেন মো. রাশেদুল ইসলাম। তাঁরা উপজেলার পান্টি পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত রয়েছেন।
পুলিশের উপর হালার ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন – পান্টি ইউনিয়নের ভালুকা ফকিরপাড়া এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে রফিকুল আলম (৫০) ও তাঁর ছেলে শাকিল (২০)। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত বাবা – ছেলে গা ঢাকা দিয়েছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ভালুকা ফকিরপাড়া এলাকার শমসের আলীর ছেলে শাহীন আলমের সঙ্গে অভিযুক্ত রফিকুল আলমের শূণ্য দশমিক ১৭৯ একর জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এনিয়ে শাহীন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি লিখিত নালিশ করেন। আদালত নালিশ আমলে নিয়ে আইন – শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ২৬ জুন ১৪৪ ধারা জারী করেন। শুক্রবার রাতে এ এস আই মো. নিজাম ও পুলিশ সদস্য রাশেদুল সেই ১৪৪ ধারার নোটিশ জারী করতে গেলে বিবাদী রফিকুল ও তাঁর ছেলে শাকিলের সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সরেজমিন গেলে রফিকুলের স্ত্রী শাহিদা খাতুন জানান, পুলিশ প্রথমে বাদীর বাড়িতে নোটিশ প্রদান করেন। এরপর সেখান থেকে এসে তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তাঁর ছেলেকে লাথি মারে ও ধস্তাধস্তি – হাতাহাতি হয়। তাঁর ভাষ্য, তাঁরা পুলিশকে মারেননি, শুধু আত্মরক্ষা করেছেন।
চৌরঙ্গী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক বসির উদ্দিন জানান, ১৪৪ ধারা জারীর নোটিশ দিতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিবাদীর ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, এ ঘটনায় আমাদের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। জড়িতদের ধরতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।