আধিপত্য বিস্তারে আওয়ামী লীগের দু-গ্রুপ মুখোমুখি, গুলিবিদ্ধ ১৪

0
126
পাবনায় আওয়ামী লীগ দুই পক্ষের সংর্ঘষের আহতরা

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনার সুজানগরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ মুখোমুখি হয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় লিপ্ত হয়েছে। এ সংঘর্ষে ১৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

রবিবার দুপুর ২ টার সময় উপজেলার আমিনপুর থানার রানীনগর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুইগ্রুপের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১৪ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন ।

পুলিশ এ ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেনসহ পাঁচজনকে আটক করেছে। আটককৃত অন্যরা হলেন সাইদুল, শরীফুল, আরিফ ও দোলোয়ার।

পুলিশের ভাষ্যমতে, রানীনগর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি শাহিনুর রহমান মাস্টার এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুল ইসলাম মাস্টারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উক্ত ইউনিয়নের ভাদুরজলা বিল নিয়ে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি আদালত খায়রুল মাস্টার গ্রুপের পক্ষে রায় দেন।

ঘটনার দিন খায়রুলের পোষ্যরা ওই বিলে মাছ ধরছিল। একই সময় শাহিনুর ও তার বাবা রানীনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেনের নেতৃত্বে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। শাহাদত ও শাহিনুর মাস্টার তাদের লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন খায়রুলের ১৪ জন সমর্থক।

তবে এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে আরও ৮ জন আহত হন। এরপর খায়রুলের পোষ্যরা শাহাদতের বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর করে।

গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ভাটিকয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রাকিব, শাহাদত হোসেনের ছেলে রাজিব খান, মৃত মানিকের ছেলে উজ্জ্বল, আবদুল বাতেনের ছেলে রায়হান, হোসেনের ছেলে জিন্নাহ সর্দার, হাসেন আলীর ছেলে সেলিম, শাহিন ও শাকিব, ইব্রাহিমের ছেলে রফিকুল, মৃত ইদ্রিসের ছেলে রাশু মেম্বার, আব্দুল মতিনের ছেলে পেয়ারা, মৃত হাকিমের ছেলে আমজেদ, সিদ্দিক খানের ছেলে আমির। আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওহাব গ্রুপের লোকজন আমার গ্রুপের ১৪ জনকে গুলি করেছে। তারা এখন পাবনা জেনারেল হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র আবদুল ওহাব তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি অরাজনৈতিক ও স্থানীয়।

আমিনপুর থানার ওসি মোজাম্মেল হক জানান, এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।