কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে আন্ত:জেলা ইজিবাইক চোর চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউরিয়া কারিগর পাড়া এলাকা থেকে তাদেও আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছে থেকে একটি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা।
মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ।
আটকরা হলেন – কুমারখালী চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউরিয়া কারিগর পাড়ার মৃত আসলাম উদ্দিনের ছেলে শাহ আলম শাহীন (৫০), কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মিলপাড়া এলাকার লোকমান মোল্লার ছেলে শরিফুল মোল্লা (৩৫) ও মৃত শহিদুল হকের ছেলে মুরাদ হোসেন (৫০)।
পুলিশ জানায়, কুমারখালীর চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউরিয়া মন্ডলপাড়ায় মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ’র ইজিবাইকের গ্যারেস আছে। অভিযুক্ত শাহ আল শাহীন তার কাছ থেকে অটোগাড়ি ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছিলেন কয়েক মাস ধরে। ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর শাহীন অটোগাড়িটি বিক্রি করে আত্মগোপনে চলে যান। ১৫ ডিসেম্বর শাহীনের স্ত্রী রেখা খাতুন কুমারখালী থানায় তার স্বামী নিখোঁজ হয়েছে, এই মর্মে সাধারণ ডায়েরী করেন। পুলিশ সাধারণ ডায়েরীর সূত্র ধরে অভিযান শুরু করে।
এরপর গত সোমবার রাতে নিখোঁজ শাহীনকে নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহীন চুরির ঘটনা স্বীকার করেন এবং অটোগাড়ির মালিক আব্দুল্লাহ ওইদিন রাতেই থানায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় শাহীনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। এ মামলায় এখনও পলাতক রয়েছেন শাহীনের স্ত্রী রেখা খাতুন।
মামলার বাদী মো. আব্দুল্লাহ বলেন, শাহীন আমার কাছ থেকে ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে চালাতেন। ভাড়া দেওয়া নেওয়ার প্রায় দুইমাসের মাথায় ইজিবাইকসহ শাহীন আত্মগোপনে চলে যায়। পরে গত সোমবার রাতে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারলাম শাহীন ইজিবাইকটি চুরি করে বিক্রি করেছে। আমি বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছি।
আরও পড়ুন – ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান কেষ জানান, চুরির মামলায় আন্ত:জেলা চোর চক্রের তিনজনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান। তিনি আরও বলেন, স্বামী ইজিবাইক চুরি করে বিক্রি করে আত্মগোপনে ছিলেন। আর স্ত্রী নিখোঁজের নাটক সাজিয়ে থানায় জিডি করেন। মূলত জিডির সূত্র ধরেই পুলিশ প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করেছে। এ ঘটনায় পলাতক আসামী রেখা খাতুনকে আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।