আসমাকে ভারতে নিয়ে খুন করে প্রেমিক

0
140
jashore-asma-dro-1-p1-compressed
নিহত আসমার প্রেমিক। ছবি সংগ্রহীত।

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

স্বামীর কাছে ফিরতে চাওয়ায় কাল হল যশোরের পুরাতন কসবার আসমার। পরকিয়া প্রেমিক ভারতে নিয়ে গিয়ে তাকে হত্যা করেছে বলে দাবি পরিবার ও ডিবির।

হত্যার শিকার আসমা যশোর শহরের পুরাতন কসবা আরবপুর পাওয়ার হাউজপাড়া এলাকার শাহানুর ইসলামের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী। অভিযুক্ত পরকীয়া প্রেমিক কাশেম শহরের পুরাতন কসবা গাজীরঘাট রোড এলাকার বশির মিয়ার ছেলে।

যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

শাহানুর ইসলামের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আসমা থাকতেন নওদাগ্রামে মঞ্জু নামে এক শিক্ষকের বাড়িতে। গত ১৫ জানুয়ারি আসমা ও তার খালা মনোয়ারা বেগম (৫৫) ভারতে চিকিৎসার জন্য যান। তারা সে দেশের উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁয়ে একটি হোটেলে অবস্থান করেন। পরদিন সকালে হোটেলের তালাবদ্ধ কক্ষে আসমা ইসলামের মরদেহ পাওয়া যায়। বনগাঁ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় বনগাঁ থানায় একটি মামলাও করা হয়।

ইতোমধ্যে আসমার স্বজনরা বনগাঁ থানা থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করেন। তার ভাই আজিম উদ্দিন গত ৩০ জানুয়ারি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কাশেমের বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন দাখিল করেন। আদালতের নির্দেশে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা নথিভুক্ত হয়। মামলাটি গত ১৪ মে পুলিশ সুপার জেলা গোয়েন্দা শাখাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সোমেন দাসের নেতৃত্বে এসআই মফিজুল ইসলামসহ একটি দল ৩০ মে ভোরের দিকে ঢাকার মিরপুর পল্লবী বাউনিয়াবাদ বস্তি বাজার এলাকায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে কাশেমকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আসমা ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ঢাকার মানিকনগর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসমার সঙ্গে পরকীয়া ও অবৈধ সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন কাশেম। পরকীয়ার কারণে ২০১৩ সালে আসমাকে তার স্বামী শাহানুর তালাক দেন। কিন্তু আসমা তার স্বামী শাহানুরের সঙ্গে আবার ঘর-সংসার করার সিদ্ধান্ত নিলে কাশেম তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং একপর্যায়ে ভারতে নিয়ে হোটেলে হত্যা করেন।