ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্যের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে তার ব্যক্তিগত সহকারীকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে চাকরিপ্রত্যাশী সাবেক ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে।
শনিবার দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালামের কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদের ব্যনারে চাকরিপ্রত্যাশী সাবেক ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে পিএস আইয়ুব অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদের ব্যনারে চাকরিপ্রত্যাশী সাবেক ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা শনিবার দুপুর থেকে উপাচার্যের পিএসের রুমে অবস্থান নেয়। পিএস উপাচার্যের বাসভবন থেকে দপ্তরে ফিরলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা তার কে ঢুকে তাকে মারপিট করে। এ সময় উপাচার্যের অপর পিএস মিল্টনকে একটি কে আটকে রাখেন তারা।
উপাচার্যের পিএসকে মারধর ও কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী সাবেক ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা। তারা তাদের চাকরি না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ বন্ধ রাখারও দাবি করেন।
ভুক্তভোগী আইয়ুব আলী জানান, তিনি অফিসে ঢোকা মাত্রই টিটো মিজান, রাসেল জোয়ার্দারসহ ১৫-২০ জন আচমকা তার রুমে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। তাকে শারীরিকভবে লাঞ্ছিত করে। তিনি নিজেকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য বলে দাবিও করেন।
চাকরিপ্রত্যাশীদের নেতা টিটো মিজান বলেন, তিনি পিএসকে মারধর করেন নি। ভাঙচুরও করিনি। কারা করেছে তা জানেনা। পিএসএর কাছে তাদের বন্ধ থাকা ফাইলগুলো চালুর কথা বলতে গিয়েছিলাম। এ সময় উনি ছাত্রলীগ নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় আমরা সাবেকরা উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, এভাবে চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করার পরিবেশ থাকবে না। যা ঘটেছে খুবই দুঃখজনক।
আরো পড়ুন – ঝিনাইদহে সাড়ে চার’শ মন্ডপে পূজার চুড়ান্ত প্রস্তুতি
কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম বলেন, আজ তারা পিএসকে মারধর করে রুম ভাঙচুর করেছে। কালকে অন্যজনের গায়ে হাত দিবে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, এ ঘটনা যারাই ঘটিয়েছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।