পাবনা প্রতিনিধিঃ
করোনা ভাইরাসের সুযোগ নিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় দুর্নীতি সংঘটিত হচ্ছে। তবে এবার ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে অনুমোদনবিহীন রূপপুর মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আব্দুল ওহাব রানা ও ম্যানেজার রুহুল আমিন গ্রেফতার হয়েছে।
কোন রকম নিয়মকানুন না মেনে কিভাবে করোনার মত গুরুত্বপূর্ণ রোগের টেস্ট করছিল তা রহস্যজনক। এর দায় থেকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ মুক্ত থাকার সুযোগ নেই। অন্যদিকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা টেস্ট রিপোর্ট নিতে জনপ্রতি ৭শ’ টাকা কারো কারো কাছ থেকে ১ হাজার করে টাকা নিচ্ছিলেন।
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও ইপিজেডে চাকুরি প্রার্থীদের বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দাখিলের নিয়ম থাকায় এখানে করোনা টেস্টের হার বেশি। অনেকে অন্য জেলা থেকেও এখানে আসেন শ্রমিক ও কর্মচারি পদে চাকুরির জন্য। এই সকল চাকুরি প্রার্থীদের করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক। পরীক্ষায় হাজির হওয়ার আগেই করোনা নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট দাখিল করতে হয়।
আবার কেউ চাকরি থেকে করোনার কারণে সাময়িক ছাটাই হয়ে ছিল তাদের আবার যোগদান করতে করোনা পজিটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে বলা হয়। ফলে অসহায় বেকার যুবকরা ২শত’ টাকা ফি হওয়া সত্বেও কেউ ৭’শত কেউ ১হাজার টাকা দিয়ে রিপোর্ট নিতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকের পরীক্ষা করাই হচ্ছে না।
ভুক্তভোগীরা বলেন, আমরা করোনা পরীক্ষার জন্য ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আসমা খান বলেন, আরএমও ডাঃ শামীম এর কাছে যেতে সেখানে গেলে আমাদের কথাই শোনে না বলে কোন পরীক্ষায় হবে না।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসমা খান বলেন, করোনা উপসর্গ ছাড়া বর্তমানে কারো পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। পূর্বে আমরা পারমাণবিক এবং ইপিজেডের অনেকেই করোনা পরীক্ষা করেছি। কিন্তু কিট সংকট থাকায় আমরা কারো উপসর্গ ছাড়া অন্য কারো পরীক্ষা করতে এই মুহূর্তে পারছিনা।
আরও পড়ুন-খোকসা বাস স্টান্ড এখন মরণ ফাঁদ
তিনি আরও বলেন, করোনা উপসর্গ ছাড়া বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করার জন্য অন্য সবাইকে যাওয়ার জন্য। আর বাড়তি অর্থ আদায়ের কথা জানতে চাইলে বলেন, তাদের কাছ থেকে ২শ’ টাকা করে ওরা নেয়। তবে ৭শ’ বা ১হাজার টাকা নয়’। আমাদের অগোচরে হাসপাতালের কর্মচারী ও কর্মকর্তা যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকে। আমার তো সব কিছু দেখা সম্ভব নয়। তবে প্রমাণ পেলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নিব।