করোনায় মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু পর ছেলে আক্রান্ত

0
123
মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান পিন্টু

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় এবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর তার ছেলে আক্রান্ত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান পিন্টু (৭২) শহরের হাউজিং ব্লক নং এ-৫১ এর বাসিন্দা।

করোনা উপসর্গ নিয়ে ২৪ জুন তিনি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হোন।

মৃতের পরিবারের সদস্যরা বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি জ¦রসহ করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন। বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে শ^াসকষ্ট শুরু হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে ভর্তির দুই দিনের মাথায় ২৬ জুন রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরের দিন বেলা ১১ টায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দিয়ে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

মৃত্যুর পর তাঁর নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় তিনি করোনা পজেটিভ ছিলেন। একই সাথে তাঁর বড় ছেলে ব্যবসায়ী ফেরদৌস ইমামের (৪৬) করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৮ জনে গিয়ে দাঁড়ালো। এর মধ্যে ৭ জন পুরুষ এবং ১ জন নারী।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে রবিবার মোট ২৮২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার ১৯৭ টি, নড়াইল জেলার ৭৮ টি ও মেহেরপুরের ৭ টি নমুনা ছিল। কুষ্টিয়া জেলায় নতুন করে ৩৬ জনকে আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। নতুন আক্রান্তের মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে ৪ জন, কুমারখালীতে ৫ জন, ভেড়ামারায় ৪ জন, এবং কুষ্টিয়া সদরে ২৩ জন।

নতুন আক্রান্তের মধ্যে পুরুষ ২৪ জন এবং মহিলা ১২ জন। এ অব্দি কুষ্টিয়া জেলায় বহিরাগত বাদে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭৭ জন। এর মধ্যে দৌলতপুর ৭৯, ভেড়ামারা ৭৪, মিরপুর ৪১, সদর ২৮৫,কুমারখালী ৭৭ এবং খোকসা উপজেলায় ২১ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ রোগী ৪২৯ এবং নারী ১৪৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন মোট ১৭৯ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৬৪ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৬ জন। মৃত ৮ জনের মধ্যে কুমারখালী উপজেলায়-২, দৌলতপুর-১, ভেড়ামারা-১ এবং কুষ্টিয়া সদরে ৪ জন।