করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনে কোম্পানি চূড়ান্ত করল যুক্তরাষ্ট্র

0
137
Corona-Dro-3-p-6-compressed

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন উৎপাদনে পাঁচ কোম্পানীকে চূড়ান্ত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ বছরের মধ্যেই প্রাণঘাতী করোনার ভ্যাকসিন মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার আশ^াস দিয়েছে তার সরকার।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্র জানিয়েছে, সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিযোগিতায় প্রায় এক ডজন কোম্পানি থেকে বাছাই করে পাঁচটি কোম্পানিকে নির্বাচিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রে সরকার। ভ্যাকসিন তৈরিতে তারা গ্রহনযোগ্যতা পাচ্ছে। যাদের ভ্যাকসিনে সম্ভাবনাময় ফল পাওয়া গেছে এবং যারা অল্প সময়েই ভ্যাকসিন উৎপাদনে সক্ষম। নির্বাচিত ৫টি কোম্পানী ভ্যাকসিন গবেষণায় মার্কিন সরকারের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ পেতে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার এক মেডিকেল সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ মহামারি বিশেষজ্ঞ ডাঃ অ্যান্থনি ফওসি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয়া হবে।

নির্বাচিত পাঁচটি কোম্পনী হলো, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ম্যাসাচুসেটস-ভিত্তিক বায়োটেক ফার্ম মডার্না, মার্কিন মেডিকেল জায়ান্ট জনসন অ্যান্ড জনসন, মার্ক এবং ফাইজার। নির্বাচিত কোম্পানী করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে আলাদাভাবে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের মধ্যে মডার্না জুলাই মাসেই তাদের ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ট্রায়াল শুরু করবে।

ইতোমধ্যেই মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসন ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের কাছ থেকে মোট ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার সহায়তা পেয়েছে। মার্ক ও ফাইজারসহ এ পাঁচটি কোম্পনীই সরকারি অর্থ পেতে যাচ্ছে। কোন গ্রুপের ভ্যাকসিন প্রকৃতপক্ষে করোনা নির্মূল করতে পারবে তা এখনও অনিশ্চিত ।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, প্রতিটি গ্রুপ তৃতীয় ধাপে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের ওপর তাদের ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালাবে। অর্থাৎ পাঁচটি গ্রুপই তৃতীয় ধাপে পৌঁছালে অন্তত দেড় লাখ মার্কিনি তাদের পরীক্ষার আওতায় আসবেন। সেক্ষেত্রে সব বয়সের মানুষের ওপরই এর পরীক্ষা চালানো হবে।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তৃতীয় ধাপের কিছু পরীক্ষা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও হতে পারে। সেক্ষেত্রে করোনার নতুন হটস্পট নির্বাচন করে সেখানে সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানো হবে।