কর্মহীন দুস্থদের জন্য চাল ও টাকার নতুন বরাদ্দ

0
123

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

দেশ ব্যাপী প্রাণঘাতী করোনা সংক্রম প্রতিরোধের ফলে কর্মহীন দুস্থদের জন্য তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য নতুন করে ৬ কোটি ৩০ লাখ নগদ টাকা ও ৯ হাজার ৬০০ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

নতুন এ বরাদ্দে ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা ত্রাণ হিসেবে বিতরণ ও এক কোটি ৬০ লাখ টাকা শিশু খাদ্যের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ বরাদ্দ দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে বৃহস্পতিবারে এক আদেশ জারি করা হয়েছে।

দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর এ পর্যন্ত বেশ কয়েক দফায় ৬৪ জেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৯১ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা (শিশুখাদ্য কেনাসহ) ও এক লাখ ৭২ হাজার ৮১৭ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।

জেলা প্রশাসকরা দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা অনুসরণ করে এ বরাদ্দ বিতরণ করবেন এবং প্রয়োজনীয় হিসাব সংরক্ষণ করবেন বলে বরাদ্দের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছ।

সিটি করপোরেশন এবং পৌর এলাকায় বেশি সংখ্যক কর্মজীবী মানুষ বসবাস করেন বিধায় জেলা প্রশাসকদের বরাদ্দের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকাকে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।

ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে শাক-সবজি কিনে বিতরণ করা যেতে পারে। প্রত্যেক ত্রাণ গ্রহণকারীকে কমপক্ষে পাঁচটি করে গাছ লাগানোর অনুরোধ করা যেতে পারে বলে বরাদ্দপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

শিশুখাদ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়বিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিধি-বিধান ও আর্থিক নিয়মাচার যথাযথভাবে প্রতিফলন করতে হবে। জিটুজি পদ্ধতিতে কিনে মিল্কভিটার উৎপাদিত গুঁড়ো দুধ চলমান কাজে ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

এছাড়া শিশু খাদ্য হিসেবে খেজুর, বিস্কুট, ফর্টিফাইড তেল, ব্রাউন চিনি, সুজি, মশুর ডাল, সাগু, ফর্টিফাইড চাল, ওয়াটার পিউরিফায়ার ট্যাবলেট, বাদাম, মানসম্মত রেডিমেড ফুড ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য স্থানীয়ভাবে কিনে বিতরণ করতে হবে। জেলা প্রশাসকরা আরোপিত শর্তাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ করে ছাড় করা অর্থে শিশু খাদ্য কিনে বিতরণ করবেন এবং নিরীক্ষার জন্য হিসাব সংরক্ষণ করবেন।