কলেজ ছাত্রী তিথিকে পাশবিক নির্যাতনে পর হত্যা করা হতে পারে

0
76
নিহত কলেজ ছাত্রী তিথি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভাটই কলেজের ছাত্রী আইরিন আক্তার তিথিকে পাশবিক নির্যোতনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে। সুরতহাল রিপোর্টে ধর্ষনসহ নির্যাতনের নানা তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার বিকালে ময়না তদন্ত শেষে ছাত্রী আইরিন আক্তার তিথির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রবিবার বিকালে শৈলকুপা উপজেলার দুধসর গ্রামের একটি কলাক্ষেত থেকে নিখোঁজ ছাত্রী তিথির গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে তিথির লাশ উদ্ধারের পর প্রতিবেশি কালু ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ির মালামালসহ পালিয়ে গেছে। এতে পুলিশের ধারণা কালু এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত।

নিহতের পরিবারের দাবী গত ২০ সেপ্টম্বর সন্ধ্যায় ফোন পেয়ে তিথি প্রতিবেশি কালুর বাড়িতে যায়। সেই থেকে কলেজ ছাত্র তিথি নিখোঁজ ছিল। রবিবার সকালে শৈলকুপা থানায় তিথির পিতা মিঠু জিডি করেন। এরপর বিকালে তার লাশ উদ্ধার হয়।

নিহত ছাত্রীর মা রেখা বেগম অভিযোগ করেন, িহত শৈলকুপার ফুলহরি ইউনিয়নের ভগবাননগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে রাকিব প্রায়ই তাদের মোবাইলে ফোন করে হুমকী দিত। তার সঙ্গে তিথিকে বিয়ে না দিয়ে ক্ষতি হবে বলে শাসাতো। ডেকে নিয়ে তিথিকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শৈলকুপা থানার এসআই মনিরুজ্জামান হাজরা জানান, তিথি আরও দুই দিন আগেই নিখোঁজ হয়েছিল। কারণ দুই দিনে লাশ পচে যাওয়ার কথা নয়। তিনি বলেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে এটা ঠিক। তবে ধর্ষনের বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন – ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের

তিনি বলেন, পুলিশের সন্দেহের তালিকায় বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। তার মধ্যে অন্যতম প্রতিবেশি কালু। তাকে গ্রেফতার করা গেলে হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার সম্ভব হবে। এ ছাড়া ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর সব কিছু জানা যাবে।

শৈলকুপা থানার ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, পুলিশ পুরো ঘটনাটি নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষন করছে। ২/১ দিনের মধ্যেই তিথি হত্যার সঙ্গে জড়িতরা গ্রেফতার হবে বলে তিনি আশা করেন।