কাঁচা মরিচের কেজিতে বেড়েছে ৪০০ টাকা

0
106

স্টাফ রিপোর্টার

খোকসায় এক রাতের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা বার্তিতে ৬০০ টাকা কেজি দরে খুচরা বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার সকালে উপজেলা সদরের কাচা মালের আড়ৎ গুলোতে কাঁচা মরিচের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়। সকালে আড়ৎদার ও মধ্যস্বত্বা ভোগীরা কৃষকদের আমদানি করা কাঁচা মরিচ কৌশলে কিনে নেন। কৃত্রিম সংকট ঘনিভুত হয়। মহাজনরা কিনে রাখা কৃষকের মরিচ পাইকারী ৫০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি শুরু করেন। সাথে কেজি প্রতি ২০ টাকা আড়ৎদারী। এই মরিচ তখনই খুচরা ৬০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি করতে দেখা যায়। আগের দিন বৃহস্পতিবার উপজেলা সদরের এ বাজারসহ আশে পাশের হাট-বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ খুচরা ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

রাধুনী রোকেয়া খাতুন বলেন, ঈদের দিন নিজের বাড়ির জন্য ২শ টাকা দরে কাঁচা মরিচ কিনেছিলেন। রাতের ব্যবধানে সেই মরিচ ৬শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতো দামে মরিচ কিনে মেসের লোকদের কি বোঝাবেন। এনিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় আছেন।

কাঁচা মালের খুচরা ব্যবসায়ী উৎপল সাহা জানান, ঈদের দিন ২০০ টাকা দরে মরিচ বিক্রি করেছেন। আজ সকালে এসেই ৫২০ টাকা কেজি কিনেছেন। এখন ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। যেমন কেনা, তেমন বিক্রি।

কাঁচা মালের আড়ৎদার আব্দুর রাজ্জাক কলেন, খড়ার জন্য মরিচের উৎপাদন কম হয়েছে। ঈদের জন্য মোকাম থেকে মরিচ আসেনি। তিনি ছেলে দিয়ে মোটর সাইকেলে করে ফরিদপুর থেকে ৫০ কেজির এক বস্তা মরিচ আনিয়ে বিক্রি করছেন। তিনি কেজি প্রতি ২০ টাকা আড়ৎ দারি নিয়েছেন বলে জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাসের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলা হলে তিনি জানান, পত্র পত্রিকায় মরিচের বিভিন্ন দাম দেখছি। খোকসাতে দাম বেড়েছে জানলেন, এখনই খোজ নেবেন।