কারাগারে নারীর সঙ্গে সময় কাটালেন হলমার্কের জিএম

0
168
কাশিমপুর কারাগারের ভেতর বন্দী তুষার আহমেদের সঙ্গে ওই নারী। ৬ জানুয়ারির সিসিটিভির ফুটেজ থেকে নেওয়া। ছবি: সংগৃহীত

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দী হলমার্কে মহাব্যবস্থাপকের সাথে এক নারীর সময় কাটানোর দৃশ্য কারাগারের ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশনের (সিসিটিভি) ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কাশিমপুর কারাগারে বন্দী হলমার্কে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমদের কারা বিধি লঙ্ঘনের কাজে কারাগারেরই দুই কর্মকর্তা সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসন ১২ জানুয়ারি তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ২১ জানুয়ারি তিন সদস্যের অপর তদন্ত কমিটি করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটির প্রধান।

৬ জানুয়ারির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কারাগারের ভেতরে কর্মকর্তাদের অফিস এলাকায় কালো রঙের জামা পরে ঘোরাফেরা করছেন তুষার আহমেদ। কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রঙের জামা পরা এক নারী সেখানে আসেন। এ সময় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলায়েন সেখানে ছিলেন। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কারাগারের কর্মকর্তাদের কক্ষের দিকে যান। সেখানে ওই নারীকে সাকলায়েন স্বাগত জানান।

ফুটেজে আরও দেখা যায়, ওই নারী কক্ষে ঢোকার পর সাকলায়েন বেরিয়ে যান। আনুমানিক ১০ মিনিট পর তুষারকে সেখানে নিয়ে যান সাকলায়েন। এর প্রায় ১০ মিনিট পর রত্না তাঁর কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। দুই মিনিট পর রত্নার কক্ষের দিকে যান তুষার। এরও দুই মিনিট পর সেখান থেকে বেরিয়ে ওই নারীকে নিয়ে আবার রত্নার কক্ষে যান তুষার। যাওয়ার সময় তাঁদের হাসি-তামাশা করতে দেখা যায়। এর দুই মিনিট পর তুষার ও ওই নারী সাকলায়েনের কক্ষে ফেরেন। সেখান থেকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর তাঁরা বের হন।

ওই ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবুল কালামকে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানা ও ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী।

শুক্রবার এডিএম আবুল কালাম গনমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য তাঁদের সাত কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। দুই এক দিনের মধ্যে তাঁরা প্রতিবেদন জমা দেবেন।

কারা কর্তৃপক্ষের গঠন করা কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেন। অন্য দুই সদস্য হলেন উপসচিব (সুরক্ষা সেবা বিভাগ) আবু সাঈদ মোল্লাহ ও ডিআইজি প্রিজন (ময়মনসিংহ বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবির।

আবরার হোসেন বলেন, প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য তাঁদেরও সাত কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। দোষী সবাই শাস্তি পাবেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেও রত্না ও সাকলায়েন সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।