কালুখালী প্রতিনিধি
রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলায় বিলে মাছ ছাড়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামীলীগের দুই দলের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে।
৭ জুন কালুখালী উপজেলার শাওরাইল ইউনিয়নের চাড়াখালী এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে । এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৪ জন আহত হয়েছে। উক্ত হামলায় আহত সিরাজ শিকদারের ছেলে মিরাজ শিকদার বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এলাকায় প্রচন্ড উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম ছরোয়ার মন্ডল বলেন, শহিদুল ইসলাম আলীর সমর্থকেরা গত বছরে কানার বিলে মাছ ছাড়ে। তাদের সাথে কথা ছিল মাছ বিক্রির লভ্যাংশ থেকে মসজিদের উন্নয়ন মুলক কাজের জন্য ২লাখ টাকা দিতে হবে। এ শর্তে তারা কানা বিলে মাছ ছাড়ে কিন্তু টাকা দেবার সময় মাত্র ১ লাখ টাকা দিয়েছে। এ বছর কানা বিলে চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মাছ ছাড়তে বাধা দিলে। তারা আমার লাকের উপর হামলা করে মারপিট ও বাড়ী ভাংচুর করেছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আনছার আলী জানান, আমাদের সাথে চেয়ারম্যান আমাদেও সাথে কথা দিয়ে রাখেনি। চেয়ারম্যান আমার এলাকার মানুষকে মারমারি থেকে বিরত থাকতে বলে। কিন্তু তিনিই তার পোষ্যদের উস্কে দিয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় আমার ছেলেসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম আলী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম সরোয়ার ঠান্ডু মন্ডলের সমর্থকের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনায় আহত সিরাজ শিকদারের ছেলে মিরাজ শিকদার বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম আলীকে প্রধান আসামী করে ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মামলা দ্বায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত নয় বরং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছিলাম। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বসার জন্য এলাকাবাসীদের জানিয়ে আসি। কিন্তু আমি ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর হামলার ঘটনা ঘটে। একই সাথে আমার সর্মথকদের বাড়ী ভাংচুর করে।
কালুখালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ উক্ত ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান সহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দ্বায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-৬। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৪ জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান