কুমারখালীতে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

0
202

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দু’পরে বিরোধের জেরে এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ।

শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পিতম্বরবশী গ্রামে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তি পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ – সভাপতি আলতাফ হোসেনের ছেলে শিপন (৩৫)। নিহতের স্বজনরা দাবি করেন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপরা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।

কুমারখালী থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে শিপনের লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের বাবা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমনের নেতৃত্বে আকবরের ছেলে কবির, কালাইয়ের ছেলে মিজান, বাবলু মাস্টার, ময়েন সহ সন্ত্রাসীরা গোদের বাজার এলাকা থেকে শিপনকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে কবিরের বাড়ির সামনে রাস্তায় পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়।

কবিরে স্ত্রী রহিমা খাতুন জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে মসজিদের জমি নিয়ে প্রতিপরে সাথে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে শনিবার রাত ১২ টার দিকে জাফর গ্রæপের এনামুল, এরাশাদ সহ অনেকে মানুষ ছুরি (চাকু) ইট, লাঠি নিয়ে আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এ সময় ধারালো ছুরির আঘাতে শিপনের মৃত্যু হয়।

এলাকাবাসী জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জাহিদ হোসেন জাফর গ্রæপের সাথে পান্টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমন গ্রæপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল । এই বিরোধের জের ধরেই শনিবার রাতে শিপন খুন হন।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জাহিদ হোসেন জাফর বলেন, প্রতিপরে নেতা শনিবার বিকেলে গোদের বাজারে তার নেতাকর্মীদের নিয়ে মিটিং করেন। আর রাতে আমার সমর্থিত শিপনকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। পরে সুমনের বড় ভাই মামুন মুঠোফোনে জানান , সুমন একটি গ্রæপের নেতৃত্ব দেয়। সে কারণে এলাকায় কোন কিছু হলেই সমুনের দোষ হয়। তবে এ ঘটনায় সমুনের কোন হাত নেই।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র এলাকায় জাফর ও সুমন গ্রæপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরে শনিবার রাতেও দুইপরে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে প্রতিপরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শিপন নিহত হন। তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।