কুমারখালী প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় কাঁপতে কাঁপতে রাস্তায় পড়ে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মারা গেছে এক স্কুল ছাত্র।
বুধবার রাত ৮টার এ ঘটনা ঘটে কুমারখালী শহরের সেরকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্কুল ছাত্রের নাম তানভীর (১৫)। সে কুমারখালী এম এম পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র। নিহতের পিতা ওবায়দুল ইসলাম বাচ্চ কুমারখালী পৌরসভার অবসর প্রাপ্ত কার্যসহকারি ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহত স্কুল ছাত্রের সাথে থাকা দুই বন্ধু রেজাউল ইসলামের ছেলে নাঈম (১৫) ও এলঙ্গীপাড়া এলাকার আসিফ ইকবালের ছেলে বাঁধন (১৫) কে রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তারা দুজনই সেরকান্দি পৌরপাড়ার বাসিন্দা। এ ছাড়াও তারেকের ছেলে সুমন (১৪) নিখোঁজ রয়েছে বলে জানাগেছে। নিহত তানভীর ও
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তানভীরসহ চার বন্ধু পৌর পুলিশ ফাঁড়ি ও জে,এন মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিল। সে সময় সাথে থাকা বন্ধু নাঈমের উপর হঠাৎ রাগান্বিত হয়ে মারমূখী হয়ে ওঠে তানভীর।
এ সময় সঙ্গে থাকা অন্য বন্ধুরা তানভীরের মারমূখী হয়ে ওঠার কারণ বুঝে ওঠার আগেই তানভীরের শরীর অস্বাভাবিক ভাবে কাঁপতে শুরু করে এবং রাস্তার উপরে উপুর হয়ে পড়ে যায়। তাৎক্ষনিক অন্য বন্ধুরা তানভীরকে একটি ভ্যানে করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
স্কুল ছাত্র তানভীরের হঠাৎ কাঁপতে কাঁপতে রাস্তায় পড়ে যাওয়ার ব্যাপারে সাথে থাকা বন্ধুরা জানায়, তানভীরের মৃগীরোগ আছে।
নিহত স্কুল ছাত্রের চাচা জহুরুল ইসলাম বাবু জানান, তানভীর মৃগী রোগী নয়। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
আরও দেখুন-খোকসার কিশোরী তান্ত্রিকের তেলেসমাতি
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ মহশিউল আরেফিন রনি জানান, হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনার তদন্ত স্বার্থে নিহত স্কুল ছাত্রের সঙ্গে থাকা দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।