কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৭) শ্লীলতাহানীর অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার দিনগত রাতে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রাধাগ্রাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত যুবক রাকিবুল (২৩) ওই এলাকায় মিন্টু শেখের ছেলে। তবে ঘটনার মূলনায়ক শাহিন শেখ (৩০) এখনও পলাতক রয়েছে। পালাতক শাহিন শিলাইদহ ইউনিয়নের জাহেদপুর গ্রামের জামাল শেখের ছেলে।
জানা গেছে, বখাটে শাহিন দীর্ঘদিন ধরে ওই কলেজ ছাত্রীকে পথেঘাটে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিল ওই ছাত্রী ও তার এক বান্ধবী। সেসময় শাহিন ও রাকিবুলের মোটরসাইকেল দিতে ছাত্রীদের পথ আটকায়। এরপর শাহিন তার মুখের স্কার্ফ খুলে মারতে মারতে টেনে হিঁচড়ে মাঠের ভিতরে নিয়ে যায় এবং প্রায় ২০ মিনিট ধরে ধস্তাধস্তি ও শ্লীলতাহানি করে। পরে স্থানীয়রা দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে পৌছে দেন।
আরো জানা গেছে, এঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গত শনিবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি শাহিন পলাতক থাকলেও সহযোগী রাকিবুলকে পুলিশ আটক করে।
ঘটনার শিকার ছাত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বখাটে শাহিন তাকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তব দিয়ে আসছিল। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বখাটে তাকে চর-থাপ্পড় ও শ্লীলতাহানী করেছে। তিনি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক তার বান্ধবী বলেন, বাড়ি ফেরার পথে তারা উত্যক্তের শিকার হয়েছেন। তিনি তাদের চলাফেরায় নিরাপত্তার দাবি জানান।
প্রত্যক্তদর্শী ভ্যানচালক ইসলাম বলেন, প্রায় ২০ মিনিট ধরে দুই ছেলে ওই মেয়েকে মারধর করেছে, ধস্তাধস্তি করেছে। পরে তিনি মেয়েদের উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে পৌছে দেন।
ছাত্রীর বাবা বলেন, তিনি থানায় মামলা করেছেন। আর কোন মেয়ে যেন এমন ঘটনার শিকার না হয় -সেজন্য দোষীদের তিনি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম বলেন, কলেজ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর মামলায় একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।