কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাছ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে প্রতিপক্ষের লোকজনের হাতে নিহত হন আমিরুল ইসলাম নান্নু (৫২)। ঘটনাটির পর বিুব্ধ জনতা অভিযুক্তদের বাড়িঘরে আগুন দেন।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, দলাদলিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই পরে মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব ছিল। এরই জের ধরে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার নিহতের বড় ভাই জহিরুল ইসলাম লালু বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পাঁচ-ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়, বুধবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলে পুকুর পাহারা দিতে যাচ্ছিলেন নান্নু। অভিযুক্তরা তার পথরোধ করে আকালের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, হালিম, আকাশ রেজা ও সবুজ তাকে হত্যার হুমকি দেন। পরে অন্যান্যরা নান্নুকে এলোপাতাড়ি মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পাশের মাঠে নিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ফেলে আসে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকিবুল ইসলাম বলেন, নিহতের ভাই জহুরুল ইসলাম বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃতদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়রা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে ওই এলাকায় নৌকার প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ গ্রুপের মধ্যে বিরোধে চলছিল। নান্নু নৌকা প্রতীকে ভোট করেন। নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়। নির্বাচনের পরেও দুই পরে মধ্যে বিরোধ চলছিল।