কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক রেস্তোরাঁয় ফ্রিজে পচা- বাসি খাবার সংরক্ষণ ও মিষ্টির পাত্রে তেলাপোকা থাকার অপরাধে ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত টাস্কফোর্স।
এছাড়াও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ থাকায় এক ফার্মেসী মালিককে ৮ হাজার, নামের আগে ডাক্তার লেখা ও প্রেসক্রিপশন করায় এক পল্লী চিকিৎসককে ৫ হাজার এবং দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা হয় এক চাল ব্যবসায়ীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত উপজেলার পান্টি ও বাঁশগ্রাম বাজার এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে পান্টির তোজাম হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক তোজাম্মেল হককে ৫ হাজার টাকা, ফারুকি ফার্মেসীর মালিক মো. ফারুককে ৮ হাজার টাকা, ডক্টরস কর্ণারের পল্লী চিকিৎসক আব্দুল কাদের জাপানকে ৫ হাজার টাকা ও বাঁশগ্রাম বাজারের মেসার্স নাসির ট্রেডার্সের মালিক নাসিরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ও পচাবাসি খাবার ধ্বংস করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল। এসময় তাকে সহযোগীতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারি পরিদর্শক ফারুক হোসেন, কুষ্টিয়া টাস্কফোর্সের ছাত্র প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমুখ।
অভিযানে থাকা কুষ্টিয়া টাস্কফোর্সের ছাত্র প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, এতোকিছুর পরেও ব্যবসায়ীরা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোক্তাদের আরো সতর্ক হতে হবে। যেখানে অন্যায়, সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন – বিএনপির সঙ্গে ঐক্যে রাজি আওয়ামী লীগ: হাছান মাহমুদ
কুষ্টিয়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচলক সুচন্দন মন্ডল জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে ৪ জনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বন্ধ থাকা প্রতিষ্ঠান গুলোকে নজরদারি করা হচ্ছে। পরবর্তীতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।