কুমারখালী প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালী স্টেশনে থামেনা সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি। এই স্টেশনে ট্রেন দু’টির যাত্রা বিরতির দাবিতে ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন কয়েক হাজার জনতা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা ১০ মিনিট থেকে ৩২ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ২২মিনিট কুমারখালী রেলস্টেশনে সুন্দরবন এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি থামিয়ে কর্মসূচি পালন করেন তারা। এরআগে সকাল ১০ টা থেকে স্টেশন চত্বরে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ছাত্র, জনতা, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণির মানুষ জড়ো হতে থাকেন রেল স্টেশনে। এসময় বিক্ষোভকারীরা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রা বিরতির দাবিতে আল্টিমেটাম দেন। পরে কুমারখালী স্টেশন মাস্টার এসে আশ্বস্ত করলে বিক্ষোভ বন্ধ করা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক লুৎফর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়দেব বিশ্বাস, সাংবাদিক কে এম আর শাহিন, নুরুল টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া আনছার মিলন প্রমুখ।
আরও পড়ুন – খোকসায় পেশাজীবীদের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
বক্তারা জানান, কুমারখালী শিল্প প্রসিদ্ধ এবং পর্যটন এলাকা। এখানে ব্যবসায়িক কারণে ও পর্যটক হিসাবে দেশ-বিদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ আসা-যাওয়া করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় যাতায়াতের কোনো সুব্যবস্থা নাই। অনেক মানুষ যাতায়াতের জন্য দুর্ভোগের স্বীকার হয়। সে কারণে খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ৭২৫ -৭২৬ এবং বেনাপোল এক্সপ্রেস ৭৯৫ -৭৯৬, ট্রেন ২টি কুমারখালী ষ্টেশন যাত্রা বিরতিদেওয়া আবশ্যক হয়ে দাড়িয়েছে।
বিক্ষোভ শেষে ট্রেন কর্তৃপক্ষের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রা বিরতি চালু না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে হুশিয়ারী দেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম। তিনি বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।