কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কোচিং সেন্টাওে যাবার পথে মাদকাসক্ত বখাটের হামলায় দুই কলেজছাত্রী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বখাটের অতর্কিত হামলার আহত এক ছাত্রী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপর ছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
রবিবার উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মাজগ্রাম জোরালপুর এলাকায় ওই দুই কলেজ ছাত্রীর উপর হামলা চালায় আশিক শেখ (২৫) নামের এক বখাটে।
হাসপাতালে ভর্তি ওই ছাত্রীর বয়স ১৮ বছর। তিনি ওই এলাকার এক কৃষকের মেয়ে। অপর ছাত্রী (১৮) একই এলাকার মেয়ে। তাঁরা শিলাদহ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্রী। ছাত্রীদেও উপর হামলাকারী বখাটে আশিক শেখ একই এলাকার সলেমান শেখ ওরফে সলের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ওই দুই কলেজ ছাত্রী সহ ৮ -১০ জন ছাত্রী স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারে পড়তে যাচ্ছিলেন। এ সময় বখাটে আশিক একটি দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে ছাত্রীদের পিছন থেকে তাড়া করে। ছাত্রীরা দৌড়ে পালানোর সময় ওই বখাটে দুই কলেজর মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করে। তখন ওই ছাত্রী হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তাঁর ডান হাতের কয়েকটি আঙ্গুল কেটে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীর ডান হাতের আঙ্গুলে সাতটি সেলাই দিয়ে ভর্তি রেখেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ওই ছাত্রী বলেন, ৮ – ১০ জন বান্ধবী একসাথে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিলেন। সেসময় আশিক ধারালো অস্ত্র (সোল) নিয়ে পিছন থেকে হামলা করে। তাড়া খেয়ে তাঁরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাঁরর মাথায় দেশীয় অস্ত্র (সোল) দিয়ে কোপ মারলে তিনি হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তাঁর হাতের আঙ্গুল কেটে যায়।
আহত ওই ছাত্রীর পিতা বলেন, তাঁর মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে বখাটে আশিক হামলা করেছে। তিনি থানায় মামলা করবেন বলে জানায়।
জানা গেছে, ঘটনার পর থেকেই ওই বখাটে পালিয়েছে। তবে তাঁর বাবা সলেমান বলেন, তাঁর ছেলে মাদকাসক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন। দুর্ঘটনাবশত ঘটে গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আকুল উদ্দিন বলেন, আহত ছাত্রীর হাতের আঙ্গুলে সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাকে পরীক্ষা – নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে তিনি বিপদমুক্ত বলে জানান এই চিকিৎসক।
কুমারখালী থানার ওসি মোহসীন হোসাইন বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।