কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ চারজন আহত হয়েছেন। এ সময় বাড়ি ঘর, দোকানপাট ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মাজগ্রাম এলাকায় এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধসহ আহতরা হলেন, মাজগ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে শাহা আলম (৪৫) ও আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুর রশিদ (৪২), একই গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে রানা হোসেন (৪২) ও শাহা আলমের ছেলে সিফাত আলী (১৪)। এর মধ্যে আব্দুর রশিদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন – শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে খুনের শত মামলা পূর্ণ হলো
জানাগেছে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী শনিবার মাজগ্রামের চেয়ারম্যান মোড়ে সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমির প্রস্তুুুতি সভা হওয়ার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজাদ আলী মোটরসাইকেল শোডাউন করেন।
সন্ধ্যায় মাজগ্রাম চেয়ারম্যান মোড়ে শিলাইদহ ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি মোতালেব হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে বাগ্বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা দেশি ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে চারজন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজন। সংঘর্ষের সময় বাড়ি ও দোকানপাটে ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
ভ্যানচালক আলী মুহাম্মদের দাবি, মারামারি দেখে তিনি ভ্যান রেখে নিরাপদে আশ্রয়ে চলে গিয়েছিলেন। পরে ফিরে দেখেন তাঁর প্রায় ৬০ হাজার টাকা দামের ভ্যানটি নেই।
শিলাইদহ ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি মোতালেব হোসেন বলেন, আজাদ আলী অস্ত্রসহ মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে এসে তাঁর লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে তাঁর ভাই আলম ও সমর্থক রশিদ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি মামলা করবেন।
কুমারখালী থানা বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমান বরেন, গোলাগুলির ঘটনার কথা স্বীকার করেন।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, তিনজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তবে গুলিবিদ্ধ কিনা, তা পরীক্ষা করে বলা যাবে।
কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম বলেন, দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।