কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সহজ শর্তে বেশী টাকা ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে শতাধিক ব্যবসাীর সঞ্চয়ের প্রায় ৩০ লাখ টাকা নিয়ে কথিত ”নীড় ফাউন্ডেশন” নামের একটি ভুয়া এনজিও কর্মকর্তারা পালিয়েছে।
রবিবার সকালে কতিথ নীড় ফাউন্ডেশনের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, এনজিওর সাইনবোর্ডটি খুলে ফেলা হয়েছে। গেটে তালা লাগানো। কিছু সংখ্যক ভুক্তভোগী দাঁড়িয়ে আছেন। গত মঙ্গলবার ব্যবসমায়ীদের মধ্যে ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঋণ না দিয়ে আগের দিন সোমবার বিকালে চক্রটি পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীরা জানান, অল্প সঞ্চয় ও সুদে অধিক টাকা ঋণ দেওয়ার কথা বলেছিল নীড় ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা। তাদের টার্গেট ছিল ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যবসায়ী। প্রত্যেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা করে সঞ্চয় নিয়েছে এনজিওটি।
ভুক্তভোগীরা জানান, কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী পৌর এলাকার কাজীপাড়া টিএন্ডটি কার্যালয়ের সামনে লাভলী খাতুনের বাড়ির নিচতলা ভাড়া নেয় নীড় ফাউন্ডেশন নামের এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। বহিরাগত ৬ জন ব্যক্তি সেখানে প্রায় ১৫-২০ দিন এনজিওটির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
চক্রটি উপজেলার আলাউদ্দিন নগর, যদুবয়রা, বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন এলাকার ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে। গ্রাহকদের অল্প সঞ্চয়ে বেশি ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে জামানত সংগ্রহ করেন। কর্থিত ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. হাবিবুর রহমানের ভিজিডিং কার্ড ধরিয়ে দেয় মাঠ কর্মীরা।
যদুবয়া জয়বাংলা বাজারের পেঁয়াজ ও পাট ব্যবসায়ী আব্দুল মোমিন ফারাজী বলেন, কিছুদিন আগে নীড় ফাউন্ডেশন নামের এনজিও থেকে কয়েকজন তার বাড়িতে গিয়েছিল। তাকে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা সঞ্চয় চেয়েছিল। ঋণ পাওয়ার আশ^াসে তিনি ২৫ হাজার ৭২৫ টাকা জমা দিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার তাঁর ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সন্দেহজনক মনে হওয়ার গত সোমবার বিকালে তিনি এনজিওর অফিস দেখতে আসেন। এসে দেখেন সবাই পালিয়েছে।
কুমারখালী বাসস্টান্ড এলাকার হৃদয় হোসেন নামে একজন দোকান কর্মচারী জানান, তিনি দুই লাখ টাকা ঋণের জন্য ১৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার ঋণ আনতে গিয়ে জানতে পারেন তারা সবাই পালিয়ে গেছে।
বাড়ির মালিক লাভলী খাতুন বলেন, ১০ হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় নিচতলা ভাড়া নিয়েছিল নীড় ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিওর ম্যানেজার হাবিবুর রহমান। চুক্তিনামা করবে করবে বলে তারা পালিয়ে গেছে।
সংস্থার এরিয়া ম্যানেজার পরিচয় দেয়া হাবিবুর রহমানের মোবাইলে ফোন দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম বলেন, বাড়িওয়ালা একটি অভিযোগ দিয়েছে। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা যদি এ ব্যাপারে অভিযোগ করে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।