কুমারখালীতে সার মজুদের দায়ে ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

0
60

কুমারখালী প্রতিনিধি

পেঁয়াজ আবাদের ভরা মৌসুমেও ইউরিয়া, এমওপি, ডিএপি সার পাচ্ছেনা কৃষকরা। দুই তিন গুন অতিরিক্ত টাকা দিলেই মিলছে সার। এ চিত্র কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা ব্যাপী। এরই মধ্যে এক লাইসেন্স বিহীন ব্যবসায়ীর গুদামে পাওয়া গেল প্রায় ২০০ বস্তা সার। এসময় লাইসেন্স বিহীন সার মজুদ করার অপরাধে ওই ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরামানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এছাড়াও কৃষি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মজুদকৃত সার ন্যায্য মূল্যে প্রকৃত কৃষকদের মাঝে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের গদের বাজার এলাকায় অভিযান চালায় প্রশাসন। সার ব্যবস্থাপনা আইনে আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম। আদালত পরিচালনায় সহযোগীতায় করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম ও থানার পুলিশ।

অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ীর নাম জাকির হোসেন (৪১)। তিনি গদের বাজার এলাকার মেসার্স লাকী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কৃষকরা জানান, পেঁয়াজের চারা রোপনের মৌসুম চলছে। এরই মধ্যে ইউরিয়া সারের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। নিবন্ধিত ডিলাররা প্রয়োজনীয় সার দিচ্ছেনা। আর অনিবন্ধিত ব্যবসায়ীরা সার মজুদ করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন। তাঁদের ভাষ্য, এক হাজার ৩৫০ টাকা মূল্যের ৫০ কেজির এক বস্তা টিএসপি সার কিনতে হচ্ছে এক হাজার ৭০০ – ৮০০ টাকায়, এক হাজার ৫০ টাকা মূল্যের এক বস্তা এমওপি সার কিনতে হচ্ছে এক হাজার ১৫০ – ২০০ টাকায়। আর এক হাজার ৫০ টাকা মূল্যের এক বস্তা ডিএপি সার বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩৫০ টাকায়।

সার বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, কৃষকদের প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থান থেকে বেশি দামে সার কিনেছেন। ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করলে প্রায় ৬০ হাজার টাকা লোকসান হবে তাঁর।

আরও পড়ুন – খোকসায় দেড় ঘন্টার পর মুক্তি পেলেন কৃষি কর্মকর্তারা

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাইসুল বলেন, বছর জুড়ে ভালো দাম থাকায় এবছর পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। চলতি বছরে চার হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ভরা মৌসুমে কিছুটা সারের সংকট দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন – বিলের জমির মাটি যাচ্ছে ইট ভাটায়

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, লাইসেন্স ছাড়াই সার মজুদ করার অপরাধে এক ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও মজুদকৃত সার কৃষি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ন্যায্যমূল্যে প্রকৃত কৃষকদের মাঝে বিক্রির নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।