কুমারখালী প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া -রাজবাড়ী সড়কের কুমারখালীতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী গৃহবধূ পর তার চিকিৎসাধী মেয়ে জয়া খাতুন (১১) মারা গেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃবধূর স্বামী আশরাফুল ইসলাম জনির অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক সড়কের নন্দনালপুর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় স্কুল ছাত্রী জয়া খাতুনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। সেখানে রাত ১টার দিকে যার মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কাভার্ড ভ্যানটি মোটরসাইকেলটিকে ওভারটেক করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আশরাফুল ইসলাম জনি তার স্ত্রী রিনা খাতুন ও কন্যা জয়াকে মোটরসাইকেল যোগে পাংশার মাছপাড়া এলাকা থেকে নিজ বাড়িতে কুষ্টিয়ার হাউজিংয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমারখালীর নন্দনালপুর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় একটি কাভার্ড ভ্যান অতিক্রম করতে গিয়ে মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে রিনা খাতুনের মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন – কুষ্টিয়ায় দুই রাইস মিলকে লাখ টাকা জরিমানা
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার দিকে নিহত গৃহবধূর একমাত্র কন্যা জয়া মারা যায়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আশরাফুল আলম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় হাসপাতলে আনার আগেই রিনা খাতুনের মৃত্যু হয়েছিল। একই ঘটনায় রাত ১০টার দিকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় নিহতের স্বামী ও মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার দিকে মেয়ে জয়া মারা যায়। স্বামী এখনো পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনিও শঙ্কামুক্ত নয়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কাভার্ড ভ্যানটি টোলপ্লাজা এলাকা থেকে জব্দ করা হয়েছে।