কুমারখালীর গড়ের মাঠের ব্রিজটি নির্মানে ২ বছর পার

0
139
নির্মাাধীন ব্রিজটির ছবিটি সংগৃহীত

কুমারখালী প্রতনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালী কালীতলা ভায়া-খোকসা-পাংশা সড়কের গড়ের মাঠে নির্মানাধীন ব্রিজটি নির্মান কাজ ২ বছরেও শেষ হায়নি।

খুলনা বিভাগীয় পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যায়ে কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের গড়ের মাঠের সেতুটির নির্মান প্রকল্প গ্রহন করা হয়। খান এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কর্যাদেশ দেয়া হয়। গত ২০ সালের ১৭ জুলাই কুষ্টিয়া-৪ খোকসা-কুমারখালী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন। ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারী তারিখের মধ্যে ব্রিজ নির্মান কাজ শেষ হয়ার কথা ছিল। ইতোমধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তিন দফায় সময় বাড়িয়েছে। কিন্তু গত ২ বছরের ব্রিজ নির্মান প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ।

গড়ের মাঠের ব্রিজটি নির্মানে বিলম্ব হওয়ায় প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সারা বর্ষা মৌসুম জুড়ে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষকে কাদা পানি মারিয়ে হাট বাজার অফিস আদালতে যেতে হয়েছে। আসন্ন শুষ্ক মৌসুমে আবার ধুলা বালি মারিয়ে চলাচল করতে হবে।

উপজেলার উত্তর-পূর্ব এলাকার জনসাধারণ এই ভোগান্তি হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়। তাদের দাবি ঠিকাদকে আর সময় না দিয়ে শুষ্ক মৌসূমের আগেই ব্রিজটির নির্মান শেষ করা হোক।

স্থানীয় বাসিন্দা আলামিন জানান, দেশে এতো সেতু নির্মাণ হচ্ছে। আর এইটুকু ব্রীজ নির্মাণ হচ্ছে না, এটা দুঃখের কথা। ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে ব্রিজ নির্মান কাজ শেষ হচ্ছে না।

সদকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, হাসিমপুর, জগন্নাথপুর, ভবানীপুর, আমবাডিয়া, হাবাসপুর দুর্ভোগের কারন হয়ে দাড়িয়েছে ব্রীজটি। তিনি ব্রিজটির নির্মান কাজ দ্রæত শেষ করার দাবি জানান।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কনস্ট্রাকশনের টিপু বলেন, তিন মাসের মধ্যে ব্রীজের কাজ সম্পন্ন করা হবে। ব্রীজটির নিচে অনেক সময় লাগার কারণে কাজ শেষ করতে সময় লাগছে।

কুমারখালী উপজেলা প্রৌকশলী আব্দুল রহিম জানান, ব্রীজটির গার্ডারের অ্যাপার্টমেন্ট ঢালাই কাজ একপাশে সম্পন্ন করা হয়েছে অন্য পাশে ঢালাই চলছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে ব্রীজের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।