কুমারখালীর চরাঞ্চলের ইট ভাটায় ফের অভিযান

0
57

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর চরসাদিপুর ইউনিয়নে অবৈধ ইটভাটায় দ্বিতীয়বার অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। দুইমাস আগে এই অবৈধ ইট ভাটায় অভিযানে গিয়ে বাধার মুখে পরে ফিরে আসতে বাধি হয়েছিল প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

শুকনো পদ্মা নদীর প্রায় চার কিলোমিটার ইজিবাইকে পাড়ি দিয়ে মঙ্গলবার ( ৪ ফেব্রæয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনি ব্যবহার, জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো এবং বৈধ লাইসেন্স না থাকার অপরাধে ৬ ভাটা মালিককে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ আইনে আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম। আদালত পরিচালনায় পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ অন্তত ১৪ জন সহযোগীতা করেন।

ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা গেছে, নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনি ব্যবহার, জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো এবং বৈধ লাইসেন্স না থাকার অপরাধে কেআরবি, এনএসবি, এমএমসি, ভিআইপি ও পদ্মা ব্রিকসকে ৭০ হাজার করে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং এমডিবি ব্রিকসকে ৫০ হাজার টাকাসহ মোট চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে ৪ ডিসেম্বর তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে যাওয়া পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের ৬০ সদস্যের দল চরসাদিপুর ইউনিয়নে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযানে যায়।

ভোমরার মোড়ে তাদের প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন ভাটার মালিক ও শ্রমিকরা। পরে ভাটার মালিকরা ‘আগামী বছর থেকে অবৈধভাবে ভাটা চালাবেন না’ মর্মে মুচলেকা দেন। সেটি নিয়েই কোনোমতে এলাকা ছাড়ে প্রশাসনের অভিযানিক দলটি।


এঘটনায় ১১ ডিসেম্বর ১০ ইটভাটা মালিকের নামে কুষ্টিয়া পরিবেশ আদালতে ১০টি মামলা করে পরিবেশ অধিদপ্তর।

স্থানীয় সূত্র জানায়, পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে ২২ বর্গমাইল আয়তনের চরসাদিপুর ইউনিয়নে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বাস। আইন অমান্য করে এ ইউনিয়নের ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে ৩৩টি অবৈধ ইটভাটা।

এর মধ্যে অন্তত ১৯টিতে রয়েছে টিনের তৈরি ড্রাম চিমনি। এ ইউনিয়ন ঘেঁষে কুষ্টিয়া সদর ও পাবনা সদর ইউনিয়নের অংশেও পড়েছে আরও অন্তত সাতটি অবৈধ ভাটা।

এসব ভাটায় দেদারচে পোড়ানো হচ্ছে নদী ও ফসলি জমির মাটি; আশপাশের গাছের কাঠ। ইট বহনে ব্যবহৃত ট্রাকের কারণে ভেঙে পড়ছে গ্রামীণ সড়ক। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।

আরও পড়ুন – আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করলে গ্রেপ্তার

ইউ এন ও এস এম মিকাইল ইসলাম জানান, নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনি গুঁড়িয়ে দিয়ে ছয় ভাটা মালিককে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ ইট ভাটায় অভিযান চালানো হবে। ৪ ডিসেম্বরের ঘটনায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে বলেও জানান ইউএনও।