কুমারখালীর রাবেয়ার মেডিকেল পড়ানোর দায়িত্ব নিলেন এমপি জর্জ

0
146
বাবা মার সাথে মেধাবী ছাত্রী

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীার ফলাফলে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও দারিদ্র্যতার কারণে মেডিকেল কলেজে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দেয় রাবেয়া আক্তার রুমির।

ফুটপাতে সিঙ্গারা-চপ বিক্রেতা দারিদ্র্য পিতা রমজান আলীর পক্ষে মেয়েকে মেডিকেলে পড়ানোর স্বপ্ন যেন ¤øান হতে বসেছিল। মেয়ে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে সেই আনন্দের বদলে দুশ্চিন্তা যেন কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিল রমজান আলী ও লাইলা খাতুন দম্পতিকে। দারিদ্র্য ঘরের মেয়ে রাবেয়ার মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া এবং মেডিকেলে ভর্তির অনিশ্চিয়তার বিষয়টি নিয়ে অনলাইনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে আসে কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ’র।

শনিবার সকালে তিনি লোক পাঠিয়ে মেধাবী রাবেয়ার বাবা রমজান আলীকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আসেন। সব বিছু শুনে তিনি রাবেয়ার রংপুরে মেডিকেল কলেজে ভর্তি থেকে শুরু করে পড়ালেখার সব খরচ বহন করার ঘোষণা দেন। এ সময় এমপি বলেন, দারিদ্রতা পড়ালেখার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে এটা জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলায় কখনও হতে পারেনা।

স্থানীয় এমপি রাবেয়ার পড়ালেখার দায়িত্ব গ্রহণ করায় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন রমজান আলী। তিনি এমপি সেলিম আলতাফ জর্জসহ যে সকল মানুষ তার মেয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। রাবেয়ার বাবা রমজান আলী কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার ৬ নম্বর ওর্য়াড সেরকান্দির বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন ফুটপথে চপ-পেঁয়াজু বিক্রেতা।

মা লাইলা খাতুনের দণন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে রাবেয়া সবার বড়। ছোট বোন তাসনিম অন্তরা সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে, ছোট ভাই মেহরাব ইসলামের বয়স চার বছর। সহায়-সম্বল বলতে তাদের ৪ শতক জায়গার ওপর টিনের বাড়ি।

রাবেয়া কুমারখালী এমএন পাইলট হাইস্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি ও কুমারখালী সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন।

২০২০-২১ শিাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীার ফলাফলে মেধা তালিকায় তাঁর স্থান হয়েছে ২০১২। রংপুর মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে রাবেয়া আক্তার রুমি।

রাবেয়া বলেন, মেডিকেলে পড়ার ইচ্ছা ছিল, সেটা পূরণ হওয়ার পথে। এ জন্য শিকসহ যাঁরা বিভিন্নভাবে তাঁকে সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। মেডিকেলে ভর্তির জন্য কোচিং করতে এক বান্ধবীর মামির মাধ্যমে ঢাকায় একটি কোচিং সেন্টারে অনলাইনে ভর্তি হয়েছিলেন রাবেয়া। বাবার ওয়ালটন স্মার্টফোনে কাস করতেন। এ ছাড়া বাড়িতেই পড়াশোনা করতেন।

রমজান আলী বলেন, আমি পড়ালেখা জানি না। মেয়ের পড়ালেখায় আগ্রহ দেখে তাঁকে সাহস দিয়েছি। কষ্ট হলেও মেয়েকে আজ তাঁর স্বপ্নের সিঁড়িতে ওঠাতে পেরেছি।