কুমারখালীর ১৪ হাজার কিশোরী পাবে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধী টিকা

0
37

কুমারখালী প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার (১০ থেকে ১৪ বছর) কিশোরী পেতে যাচ্ছে জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) টিকা।

বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রস্তুতিমূলক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মু: আহসানুল মিজান রুমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মিকাইল ইসলাম।

আলোচনায় অংশনেন, থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সুকল্যান বিশ্বাস, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী এজাজ কায়ছার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফেরদৌস নাজনীন সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও গণমাধ্যম কর্মীরা।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মু: আহসানুল মিজান রুমী।

আরও পড়ুন – খোকসার ওসির সাথে সাংবাদিক ও সুধীজনের সাক্ষাৎ

তিনি বলেন, আজকের কিশোরীরা আগামী দিনের মা, তাদের সুস্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য সুরক্ষা। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। এই টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার রোগের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। শতকরা ৯৯ ভাগ জরায়ুমুখ ক্যান্সার এইচপিভি ভাইরাস দ্বারা হয়। তাই ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরদের ১ ডোজ এইচপিভি টিকা প্রদানের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। ২৪ অক্টোবর থেকে এই টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন হবে।

তিনি আরও বলেন, এই টিকা পেতে আগ্রহীদের অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। িি.িাধীবঢ়র.মড়া.নফ এই ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা গ্রহণ করা যাবে। রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, কিশোরীরা আমাদের সন্তান। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে সরকারি এই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তাদেরকে রেজিষ্ট্রেশনের আওতায় আনাসহ সকল প্রকার কার্যক্রমে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সহায়তা করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, এইচপিভি টিকা গ্রহণের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরিতে সরকারি, বেসরকারি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কিশোরীদের উদ্বুদ্ধ করতে, এ কার্যক্রমের সাথে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে, কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা, প্রচার ও প্রতিবন্ধকতা সমূহ দূর করা সহ টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করার আহবান জানান।