কুমারখালী প্রতিনিধি
কুমারখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট প্রার্থনায় সর্বস্তরের মানুষের সাথে মতবিনিময় ও গণসংযোগ করে চলেছেন আওয়ামী লীগের নবীন-প্রবীন দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী। স্মার্ট উপজেলা গড়ার প্রতিশ্রæতি দিচ্ছেন দুই জনেই।
উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›দ্বীতায় নেমেছেন আওয়ামী পরিবারের নবীন-প্রবীন দুই তারকা প্রার্থী – বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খান (আনারস) এবং সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আবুল হোসেন তরুণ ও সুলতানা তরুণের পুত্র গোলাম মুর্শেদ পিটার (মোটরসাইকেল)।
বর্তমান চেয়ারম্যান মান্নান খান আগেও দুই বার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। গোলাম মুর্শেদ পিটার এবারই প্রথম নির্বাচন করছেন। তাই নির্বাচনী মাঠে পুরাতনের সাথে নতুনের ভোট যুদ্ধ নিয়ে নানা জল্পনা- কল্পনা চলছে। তবে আসন্ন এ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ- উদ্দীপনা অনেক কম দেখা যাচ্ছে।
অনেকেই বলছেন, বড় ধরণের দলীয় গ্রæপিং। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় গ্রæপিংয়ের ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। এ নির্বাচনে সংসদ সদস্য আব্দুর রউফের সমর্থক ও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক জাহিদ হোসেন জাফরের সমর্থকেরা আব্দুল মান্নান খানের পক্ষে নির্বাচন করছেন। অন্যদিকে, গোলাম মুর্শেদ পিটারের পক্ষে নির্বাচন করছেন সাবেক সাংসদ সুলতানা তরুণের, সেলিম আলতাফ জর্জের, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র সামসুজ্জামান অরুণের সমর্থকেরা।
সংসদ নির্বাচন থেকে উপজেলা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা নানা ধরণের সংঘর্ষ – সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে। পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়। তবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এ পর্যন্ত কোন প্রার্থীর পক্ষে বিপক্ষে উত্তেজনা, সহিংস ও সংঘর্ষের ঘটনা কিংবা অভিযোগ নেই। তবুও সাধারণ মানুষ অনেকটাই নিরব রয়েছেন।
কযেক দিন যাবৎ উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ে ঘুরে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় আওয়ামী লীগ কর্মী সমর্থকদের ব্যস্তুতা চোখে পড়ে। বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের সমর্থিত প্রার্থীর পোস্টার ঝুলানোর কাজ করতে দেখা যায়। সেই সাথে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ভাইন চেয়ারম্যানের কর্মীদের দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায়।
সদকী ইউনিয়নের একজন সাধারণ ভোটার (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, যদি সার্বিক পরিবেশ ভালো থাকে, মারামারি না হয়, তাহলে ভোট দিতে যাবো। আমরা কারো পক্ষে নির্বাচন করতিছিনা। তাই কার কি অবস্থা তাও কতি ( বলতে) পারতিছিনা।
আরেকজন নারী ভোটার জানান, এখন কি আর সেই ভোট আছে ? যে যার ইচ্ছেমতো নির্বাচন করবি ? যে গ্রæপ শক্তিশালী তাদের বাহিরে গেলেই সমস্যা।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও তিনজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও চারজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন সাধারন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। আগামী ২১ মে কুমারখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।