কুমারখালী পৌর এলাকার জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ চরমে

0
60

কুমারখালী প্রতিনিধি

বৃষ্টিতে কুমারখালী পৌরসভা এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টির ফলে চরম জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। পৌরসভার পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকাকে জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ বলে চিহ্নিত করেছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ বসত বাড়ির আঙিনায় বৃষ্টির পানি জমে থৈ থৈ করছে। কোথাও পাকা সড়কের উপর দিয়ে পানির ¯্রােত বয়ে চলেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে পানি জমে রয়েছে। পানি মাড়িয়ে হাসপাতারে যাতায়াত করতে হচ্ছে চিকিৎসক ও রোগীদের। হাসপাতাল চত্বরের জলাবদ্ধতা নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, হাটু পানি মারিযে যেতে হচ্ছে হাসপাতালে।

হাসপাতালে এক রোগীর স্বজন (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, ১৫ বছর যাবৎ একটানা পৌরসভার মেয়রের পদে থেকেও জলাবদ্ধতা নিরসনে কিছুই করেন নাই। আর প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলে মেয়র – কাউন্সিলররা জলাবদ্ধতা নিরসনে নানা প্রতিশ্রæতি দিয়ে গেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেন নাই। তাই এখন এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ নাগরিকদের।

১ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দার জানান, পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এক যুগের অধিক সময়কাল যাবৎ এমন জলাবদ্ধতা জনিত দুর্ভোগ পোহাতে হয় আমাদের। যদিও লোক দেখানোর জন্য হলেও আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ এলাকায় ড্রেন তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। ওই কাজের (নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার) মান নিয়ে অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর।

একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাইদুল আলম চমন জানান, জলাবদ্ধতার কারণে তাদের বসত বাড়ির পুকুর ভেসে গেছে। পানি নিস্কাসনের কোন ব্যবস্থা নেই। জলাবদ্ধতার জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন তিনি।

আরও পড়ুন – প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ

৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদেরকে জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেক বসত বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ঘরের বাহিরের রান্না ঘরে রান্না পর্যন্ত করতে পারছে না অনেক পরিবার। ডুবে গেছে হাসপাতালে যাতায়াতের সড়ক। এই দুর্ভোগের যেন কোনো প্রতিকার নেই।

সেরকান্দি এলাকার বাসিন্দারা জানান, এক যুগেরও বেশি সময়কাল যাবৎ জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
স্থানীয় সচেতন বাসিন্দারা জানান, পৌরসভা গা ঘেঁষে বয়ে চলেছে গড়াই নদী। অথচ শহরের পানি ড্রেনের মাধ্যমে নদীতে দিতে পারেনি। এর সম্পূর্ণ দায় পৌরসভার সাবেক মেয়রের বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগষ্ট হাসিনা সরকারের পতন ও দেশত্যাগের পর থেকে সাবেক পৌর মেয়র সামছুজ্জামান অরুণ সহ অধিকাংশ কাউন্সিলর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তারপর সরকার দেশের সকল পৌরসভার মেয়রকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ করেছেন।