কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা হাটের ইজারা নেওয়াকে কেন্দ্র করে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় চাল ব্যবসায়ী রশিদ এগ্রো ফুড প্রডাক্টসের মালিক আব্দুর রশিদের বাড়ি লক্ষ্য করে দিনে দুপুরে গুলি ছুঁড়েছেন দুর্বৃত্তরা। তবে এ সময় তিনি বাসায় ছিলেন না।
আব্দুর রশিদ বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি। বুধবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে কুষ্টিয়ার শহরের কোর্টপাড়া এলাকার গোসালা গলির বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের স্থানীয় আইলচারা হাট নিলামে আমার ভাতিজা গোল্ডেন রাইস মিলের মালিক জিহাদুজ্জামান জিকু পেয়েছে। এরপর থেকে সন্ত্রাসীরা আমাদের দুজনকে মুঠো ফোনে হুমকি দিয়ে আসছিল। আজকে গুলি করে গেল।
আব্দুর রশিদ বলেন, সপ্তাহখানেক আগেও মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়েছে।
কি কারনে এমন ঘটনা ঘটতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে আইলচাড়া হাট নিয়ন্ত্রণ করি, আমার বড় ভাই চেয়ারম্যান, ভাতিজা জিহাদুজ্জামান জিকু এই হাটের জন্য টেন্ডার ড্রপ করেছে, টেন্ডারের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা বলে তিনি জানান।
তিনি দাবি করেন তারা টেন্ডার ড্রপ না করলে অল্প টাকায় নেয়ার জন্য কিছু ব্যক্তি পাঁয়তারা চালাচ্ছিল। ভাতিজা জিকু টেন্ডার ড্রপ করার পর থেকেই বিভিন্ন ভাবে জিকুকে এবং তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে কিছু ব্যাক্তি, সপ্তাহখানেক আগেও তাকে মুঠো ফোনে হুমকি দিয়েছে বলে জানান তিনি। রশিদ অভিযোগ করে বলেন, কুষ্টিয়া সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব ও মুন্না এই হাট নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তার ধারণা।
তবে কুষ্টিয়া সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব ব্যবসায়ী রশিদের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, এ ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততা তো দূরে থাক তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
আরও পড়ুন – ফসলের সাথে শত্রুতা
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুজন ব্যক্তি হেলমেট পড়ে এসে বাইক থামিয়ে কোমর থেকে অস্ত্র বের করে রশিদের বাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি করে তাৎক্ষণাৎ মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন – কুমারখালীতে গ্রাম পুলিশের মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু
ঘটনাটি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, মোটরসাইকেল যোগে দুজন ব্যক্তি এসে আব্দুর রশিদ সাহেবের নির্মানাধীন বাড়িতে দুই রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে গিয়েছে। আমরা আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেছি এবং মোটরসাইকেলটির নাম্বার সনাক্ত করার চেষ্টা করছি। এই বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।