কুষ্টিয়ার গড়াই তীরে তৈরি হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন পার্ক

0
206
কুষ্টিয়ার গড়াই তীরে তৈরি দৃষ্টিনন্দন পার্কেরি নির্মান কাজ পরিদর্শন করছেন কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার বড়বাজার এলাকায় গড়াই নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় পরিবেশ বান্ধব পার্ক তৈরি করছে জেলা পরিষদ। প্রায় ২০ একর জায়গার ওপর এ পার্ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই। ইতিমধ্যে পার্কের বাইরে এক হাজার নারিকেল গাছ লাগানো হয়েছে। আর ভিতরে বড় এলাকা জুড়ে সবেমাত্র লাগানো হয়েছে দেশি-বিদেশি নানা জাতের বৃক্ষ ও ফুলের গাছ।

জেলা পরিষদ পার্ক নামে উদ্যান তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। পার্ক চালু হলে এখানকার দৃষ্টিনন্দন সবুজ পরিবেশ সবার চোখ জুড়াবে। বাইরে থেকে দর্শনার্থীদের জন্যও এটি উন্মুক্ত থাকবে।

জেলা পরিষদ সূত্র জানিয়েছে, পরিবেশের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ উদ্যানের আলোকে একটি দৃষ্টিনন্দন পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনার আলোকে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ বড়বাজার এলাকায় গড়াই নদীর তীরে জায়গা নির্ধারণ করে। সেখানে বালু ভরাটের পর প্রায় ২০ একর জায়গা জুড়ে প্রাচীর দেওয়া হয়। ৪ বছর আগে মাহবুবউল আলম হানিফ পার্কটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।

এছাড়া জেলা পরিষদ তাদের নিজস্ব তহবিলের অর্থ দিয়েও কাজ করছে। সাংসদ নিজেই ঢাকার একটি ফার্ম থেকে পার্কের জন্য নকশা তৈরি করেছেন।

কুষ্টিয়ার নির্মানাধীন পার্ক

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, গড়াই নদীর তীর ঘেঁষেই পুরোদমে চলছে পার্কটির নির্মাণ কাজ। বাইরে নদী পাড়ে লাগনো হয়েছে আম গাছ। এছাড়া চারপাশে রোপন করা হয়েছে নারিকেল গাছের চারা। পার্কটির জন্য ২০ একরের বেশি জায়গা নির্ধারণ করে প্রাচীরের পাশাপাশি দুটি প্রবেশদ্বারও রয়েছে। ভিতরে নানা অংশ জুড়ে পাকা দৃষ্টিনন্দন গোলচত্বর তৈরি করা হয়েছে। পুরো এলাকার জন্য ভিতরে রয়েছে পাকা সড়ক। ইট,পাথরের ঢালাইয়ের গোল চত্বরেও রোপন করা হয়েছে দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির ফলজ ও ফুলের গাছ।

জেলা পরিষদের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মেজবাহুর রহমান বলেন, রাত-দিন কাজ চলছে। ভিতরে এখনো যেসব অংশে কাজ বাকি আছে সেখানে ঢালাইয়ের কাজ চলছে। আর বাইরের যে অংশে বালু ভরাট করা রয়েছে সেখানেও গাড়ি পার্কিংসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করা হবে।

জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহিনুজ্জামান বলেন, পার্কে ইতিমধ্যে ৬ হাজার বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অর্ধলক্ষাধিক দেশি-বিদেশি নানা জাতের গাছের চারা রোপন করা হবে। পাশাপাশি ফুলের চারাও রোপন করা হচ্ছে। নদী তীরে লাগানো হয়েছে নানা জাতের আমের গাছ। সেগুলো বড় হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে পার্কটির অন্যতম পরিকল্পনাকারি মাহবুবউল আলম এমপি মহোদয় গাছ লাগানোসহ সার্বিক কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন বলে জানান তিনি।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজি রবিউল ইসলাম বলেন, পার্কটি মূলত উদ্যান। বাণিজ্যিক বিষয় মাথায় নিয়ে পার্ক তৈরি করা হচ্ছে না। মূলত সবুজ একটি পার্ক নির্মাণ করতেই আমাদের নেতা মাহবুবউল আলম এমপির পরিকল্পনায় আমরা কাজটি বাস্তবায়ন করছি। ইতিমধ্যে ৬ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে। পার্কটির পূর্ণরুপ পেতে আরও কয়েক বছর সময় লাগবে। এরপর দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। পূর্ণরুপ পেলে মনে হবে শহরের বুকে একখন্ড সবুজ নগরী।